গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে নাতি জামাইয়ের ধারালো ছুরিকাঘাতে নানা শ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত নাতি জামাই আমির হামজা। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পুলবন্দি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাতি জামাই ময়জাল মিয়া (৭০) বোয়ালি ইউনিয়নের উত্তর ফলিয়া গ্ৰামের মুত্যু রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র। অভিযুক্ত আমির হামজা একই গ্ৰামের আশরাফুল ইসলামের জামাই। তিনি বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার দিকে পুলবন্দি বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী মুরাদ মিয়াকে মারপিট করেন আমির হামজা।
খবর পেয়ে মুরাদের বাবা আব্দুল আজিজ ও দাদা ময়জাল হক বাজারে আসেন। এ সময় আমির হামজা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে আমির হামজা তার পকেটে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ময়জাল হকের বুক ও পেটে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত ময়জালকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। স্বজনদের অভিযোগ, আমির হামজা পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতে ময়জাল হকের মৃত্যু হয়েছে। দাদন ব্যবসায় জড়িত আমির হামজা দীর্ঘদিন ধরেই নানা অপকর্মসহ লোকজনকে মারধর করে আসছিলো।
কিছুদিন আগেও আমির হামজা মুরাদের বড় ভাই মাসুদকে ধারালো ছুরি নিয়ে ধাওয়া করে। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, ছুরিকাঘাতে ময়জাল হকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত আমির হামজাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন