বেলকুচিতে আমার সময়ে উন্নয়ন হয়েছে, বাপ ছেলের আমলে কোন উন্নয়ন হয়নি -লতিফ বিশ্বাস

সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসনে মন্ডল গ্রুপের কর্ণধার আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ মন্ডল ও তার ছেলে মমিন মন্ডল এমপি হওয়ার পরে সরকারের গতানুগতিক বরাদ্দের বাহিরে কোন উন্নয়ন করেনি।

তারা সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা দল থেকে ছিটকে পরেছে, দলে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছিনা, যিনি নৌকা পেয়েছেন আমি তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। আমার সময়কালে আমি কি উন্নয়ন করেছি, আর গত দশ বছরে তারা বাপ বেটা এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে কি উন্নয়ন হয়েছে তা জনগণ অবগত আছে। এটা জনগণ দেখেই ভোট দেবে। এটাই আমার শেষ নির্বাচন, জনগণ আমাকে আবারও নির্বাচিত করলে আমি বিগত দিনে উন্নয়ন করেছি আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। উন্নয়নের যে কাজগুলো বাকি আছে সেগুলো করবো এবং আওয়ামীলীগে বিভাজন বিভক্ত ত্যাগি কর্মীদেরকে নিয়ে আবারও বেলকুচি-চৌহালীর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করবো। আমার এমন কিছু উন্নয়ন করার ইচ্ছা উন্নয়ন করবো যাতে বেলকুচি-চৌহালী আসনের মানুষ চিরদিন মনে রাখে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি বিজয় হবো এ বিশ্বাস আমার আছে। সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে বেলকুচি প্রেসক্লাব ভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গাজী লুৎফর রহমান মাখন, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব গাজী সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ শামসুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর্জা শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব চৌধুরী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।