নরসিংদীতে শিবপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের চেষ্টা

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় যোশর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের প্রবাসী আল-আমিনের স্ত্রী আমিনা আক্তার (২৫)- কে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
আমিনা আক্তার এই বিষয়ে অভিযোগ করে জানান, বিগত ০১ বছর পূর্বে সাবেক ইউপি সদস্য তোফাজ্জলকে জমি ক্রয় করার জন্য ১০ লাখ টাকা দিই।

০১ বছর অতিক্রম হওয়ায় জমি না দিতে পারায়, আমি ছলে কৌশলে ১০ লাখ টাকা আদায় করি। টাকা আদায় করার পর কিছু দুষ্কৃতিকারীরা আমাকে জমি কিনে দিবে মর্মে টাকা চাইতে থাকে। কিন্তুু আমি তাদেরকে টাকা দিই না।

বিগত ০৯ জানুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে আমার পাশের বাড়ির চাচী ইয়াসমিন বেগম (৪০) এর বাড়িতে পানের জর্দা আনতে যাই। এরপরই কে বা কারা যেন আমাকে উক্ত ঘরের মধ্যে রেখে দরজা লাগিয়ে দেয়। আমি চিৎকার চেচামেচি করলে পাশের বাড়ির এক মহিলা এগিয়ে এসে দরজাটি খুলে দিলে আমি বেরিয়ে যাই।

একই দিন রাতে ইয়াসমিন বেগম আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তার চাউলের ড্রামের ভিতরে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণ রয়েছে। সেটি আমি চুরি করেছি। সে এলাকার কিছু বখাটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার নিকট থেকে ১ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। ১ লাখ টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে আমাকে হয়রানী করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম চিকিৎসা নিতে গেলে হঠাৎই আমিনা আক্তার উক্ত বিষয় খুলে বলেন ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সংবাদকর্মীদের তিনি জানান, যেহেতু স্বামী প্রবাসে থাকে সেহেতু বিভিন্ন সময়ে দুষ্কৃতিকারীরা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে। এরই ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মিথ্যা চুরির বিষয়ে আমার বাড়িতে একটি সালিশ বসানো হয় ও সাবেক মেম্বার তোফাজ্জল আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ লাখ টাকা দিতে বলেন। যেহেতু উনার সাথে আমার পূর্বের ঝামেলা ছিলো আমার ধারনা তিনি উক্ত বিষয়টি সম্পূর্ন সেই কারনেই করেছেন।

এ বিষয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য শাজাহান মেম্বারের নিকট সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো। প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইয়াসমিন বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, বিষয়টি যেহেতু আমাকে অবগত করেছেন। আমি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।