তাপমাত্রা নেমেছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রীতে সূর্যের দেখা মিলছেনা পঞ্চগড়ে

টানা চার দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না প গড়ে। তাপমাত্রা নেমেছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রীতে। একদিকে পৌষের হাড় কাঁপানো শীত অন্যদিকে পেটের ক্ষুধা। তীব্র এই শীতে যন্ত্রণা পোহাচ্ছে সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের নিন্ম আয়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের এ তথ্য জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী- বুধবার (১০ জানুয়ারি) ১২ ডিগ্রী, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী, সোমবার (৮ জানুয়ারি) ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী, রোববার (৭ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী, শনিবার (৬ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী, বুধবার (৩ জানুয়ারি) ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রী ও সোমবার (১ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চতুর্থ দিনের মতো ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পঞ্চগড়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘন কুয়াশা দেখা না গেলেও মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে করে হিমশীতলের ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের পেশাজীবী মানুষ। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তাঁরা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন নি¤œ আয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও।

এদিকে গত তিনদিন ধরে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা নিন্মমুখী হওয়া ও সন্ধ্যার পর আবার ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কোলাহলহীন হয়ে পড়ে শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলো। বাজারগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় কাগজ, টায়ারে আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত চারদিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অ লে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।