রংপুরে সাবেক স্ত্রীকে অপহরণ করে বিয়ের প্রলোভণে ধর্ষণ
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের রামসিং জুয়ানের চর এলাকায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর অপহরণ করে বিয়ের প্রলোভণে ধর্ষন ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের হয়বত খাঁ গ্রামের গোলাপ উদ্দিনের পুত্র মোঃ সাদেকুল ইসলামের সাথে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের রামসিং জুয়ানের চর গ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে আরেফা বেগমের চার বছর পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটা ২ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ- পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রায় সাত মাস পূর্বে গ্রাম্য সালিশে সাদেকুল ইসলাম আরেফা বেগমকে দেনমোহর পরিশোধ করে তালাক প্রদান করেন। তালাক প্রদান করার পর আরেফা তার বাবার বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। কিন্তু গত (২২-ডিসেম্বর) ছাদেকুল ইসলাম আরেফাকে ফোন দিয়ে সন্তানকে দেখার কথা বলে অনুরোধ জানিয়ে বাড়ির পিছনে আসতে বলেন। সাদেকুল অনুরোধ করায় বাড়ির পিছনে গেলে আরেফাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে সাদেকুলের ভগ্নিপতি মমিদুল ইসলাম এবং ফরহাদ হোসেনের সহযোগিতায় আরেফাকে অপহরণ করে সাদেকুলের বাড়িতে নিয়ে যায়।
বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভণে ধর্ষন করেন। আরেফার চিৎকারে সাদেকুলের বাবা মা জেগে উঠে আরেফাকে দেখতে পেয়ে প্রচুর মারধর করে বাড়ির বাহিরে বের করে দেয়। রাতে জহির মেম্বার ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হলে সাদেকুলের বাবা মা জানায়,যা হবার তা তো হয়েছে। মামলা মোকদ্দমা না করার শর্তে সাদেকুলের সঙ্গে পুনরায় বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
লোকলজ্জা এবং বাচ্চার কথা চিন্তা করে আরেফা এবং তার পরিবার সাদেকুলের পরিবারের প্রস্তাব মেনে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন এবং এতে প্রায় ৫০/৬০ জন লোককে নিমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্হা করেন। কিন্তু বিয়ের পূর্ব মূহুর্তে সাদেকুলের পরিবার জানায়, বিয়ের আগে তিনলক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে আসেন। না-হলে এ বিয়ে হবেনা। এরপর তাদের দাবি করা যৌতুক দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙে যায় এবং বিয়েতে আত্মীয়দের জন্য রান্না করা খাবার নষ্ট হয়ে যায়।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে ধর্ষণ করায় আরেফা বেগম বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পায় বলে এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, আরেফার ঘটনানাটি কাউনিয়া থানাধীন। ভিকটিমকে ডাকা হয়েছে। যথাযথ আইনি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন