একুশে পদক পাচ্ছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া

ভাষা আন্দোলন ও তৎপরবর্তী স্বাধীকারের সকল আন্দোলনে অবদান রাখায় চলতি বছর (২০২৪) বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (মরণোত্তর) পাচ্ছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া। মৃত্যুর ১৮ বছর পর একুশে পদক পেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালে ভাষা আন্দোলনে ২ জন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ৪ জন, শিক্ষায় ১ জন একুশে পদক পাচ্ছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া মহান ভাষা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান ও অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের প্রদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে এমসিএ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন তিনি।

১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৫০ সালে গৌরীপুর থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরে দীর্ঘদিন সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর এ সম্মাননায় পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে অভিনন্দন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি।

ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক পেয়েছেন মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)।

শিল্পকলার সংগীত শ্রেণিতে এ পুরস্কার পাচ্ছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।

শিল্পকলার নৃত্যকলায় একুশে পদক পেয়েছেন শিবলী মোহাম্মদ, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, অভিনয়ে ডলি জহুর ও এমএ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মোঃ মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, শিল্পকলার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্রে নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মোঃ জিয়াউল হক ও আলহাজ্ব রফিক আহামদ, শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, ভাষা সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর)।