সাবেক ভূমিমন্ত্রীকে নিয়ে যা বললো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশের বিগত সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অবগত।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। যার আর্থিক মূল্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং। যা বাংলাদেশে বৈদেশিক রিজার্ভের ১ শতাংশের সমতুল্য। এটি এমন অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে একটি মাত্র। সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই বিষয়টিকে দেখছে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এই প্রতিবেদনের বিষয় অবগত এবং সরকারের সব নির্বাচিত কর্মকর্তারা যেন দেশের আইন ও আর্থিক বিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি।’
এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারির প্রেস ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন—নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার হলে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অবিশ্বাস জন্মানো ছাড়াও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বিদেশিরা নিরুৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলায় আমরা দেখেছি, শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বিচার করা হয়েছে। অতিরিক্ত মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে উদ্বিগ্ন যে এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন