ঝিকরগাছা মৎস্য অফিস
৫ হাজার মাছ চাষীর বিপরীতে করমকর্তা ২ জন! চরম সংকটে সেবা প্রার্থীরা
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার মাছ চাষীর বিপরীতে সেবা দিচ্ছেন মাত্র ২ জন কর্মকর্তা। ফলে মাছ চাষে সেবা গ্রহীতারা পড়ছেন চরম বিপাকে।
উপজেলার বাঁকড়া ও গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন মাছ চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। উপজেলা সদর থেকে বাঁকড়ার মাছ চাষের শেষ সীমানার দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার আর গঙ্গানন্দপুর এর দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এছাড়াও উপজেলার মাছ চাষের এলাকা গুলো বেশ দূরে হওয়ায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন উপজেলার মাছ চাষীরা।
ঝিকরগাছা উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, উপজেলা জুড়ে ৭ হাজার ৭৫৪ টি পুকুর, ১৮টি সরকারি জলাশয়, ১২টি খাল, ৯ টি বাঁওড়, ৭ টি বিল ও ২ টি নদী রয়েছে। এর বিপরীতে মাছ চাষীর সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৯ জন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ৭ হাজার জন।
উপজেলার বলা গ্রামের মাছ চাষী সুজন মাহমুদ বলেন, ‘ আমি ও আমার পরিবারের লোকজন মিলে প্রায় ৫০ বিঘা মাছ চাষ করি। কিন্তু কোন কর্মকর্তার দেখা পাওয়া যায়না। এখন আমাদের একমাত্র ভরসা আশে পাশের ২/১ জনের অভিজ্ঞতা আর দোকানদাররা। কৃষি কর্মকর্তাদের মতো মৎস্য কর্মকর্তারাও যদি ফিল্ডে এসে পরামর্শ দিতো তাহলে অনেক উপকার হতো’
উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের মাছ চাষী সবুজ হাসান বলেন, ‘আমি ও আমার আশে পাশে প্রায় ৫০০ বিঘা মাছ চাষ হয়। কিন্তু কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পরামর্শ দিতে দেখিনা।‘
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম শাহজান সিরাজ বলেন, ‘আমরা সব সময় চায় চাষীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কিন্তু জনবল সংকটে তা হয়ে উঠছেনা। আমি, একজন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহায়ক দিয়ে অফিস চালাতে হচ্ছে আমাদের।
মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারী ও অফিস সহকারীর ৩ টি পদ এখনো ফাকা রয়েছে। অফিসিয়াল কাজ থাকায় সব সময় আমাদের চাষীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়না। আমরা চাই এ জনবল সংকট কেটে যাক এবং চাষী সর্বোচ্চ সেবা পাঁক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন