পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কৃষককে হাতুড়ি পেটা
            
                     
                        
       		পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ছোট মাছুয়া (৫ নং ওয়ার্ড) এলাকায় লিটন নামে এক কৃষকের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে ছোট মাছুয়া এলাকার এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলী রেজা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল আমিন এবং আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ সহ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। হারুন অর রশীদ ভান্ডারিয়ার মহিউদ্দিন মহারাজের (সংসদ সদস্য পিরোজপুর-২) সমর্থক অন্যদিকে আল আমিন মঠবাড়িয়ার আশরাফুর রহমান ও শামীম শাহনেওয়াজের (সংসদ সদস্য পিরোজপুর-৩) সমর্থক ও কর্মী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব অনেকটা প্রকাশ্যে আসে।ঘটনার দিন প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসী কায়দায় দলবদ্ধ হয়ে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আল আমিনের মামা কৃষক লিটনকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
আহত কৃষক লিটন হাওলাদারের স্ত্রী জানান, গত নির্বাচনে আমার স্বামী কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থক ছিল।যারা হামলা করেছে তারা সবাই ঈগলের সমর্থক ছিল। ঘটনার সময় আমার স্বামী বাড়ি থেকে তুষখালী বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় হেমায়েত হাওলাদারের বাড়ির সামনে ইজিবাইকের পথরোধ করে শাহিন, তুহিন, হেমায়েত ও হারুন হাওলাদার হামলা চালায়।
এতে আমার স্বামী লিটন হাওলাদারের গলার একটি হাড় ভেঙে যায়।হাতুড়ির আঘাতে পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো গোল দাগ হয়।ঘটনাস্থলেই সে অচেতন হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে হারুন হাওলাদার জানান তুহিনের ওপর হামলা করতে আসায় আমরা প্রতিরোধ করেছি।তবে তাকে ঢাকায় নেওয়ার মত আহত হয় নি।
 
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




