যবিপ্রবিতে দূর্ঘটনা এড়াতে উপাচার্যের সতর্কতা নির্দেশনা মানতে গাফিলতি

বর্ষা মৌসুম, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও যেকোনো দূর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা হিসাবে দাপ্তরিক সকল কাজ শেষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সকল ভবনের বৈদ্যুতিক পাখা-বাতি ও দরজা-জানালা বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে নির্দেশনা জারির পরও বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের একাধিক তলার জানালার গ্লাস খুলে রাখা, ল্যাব ও শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক ফ্যান চালু থাকা ও বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। তবে এবিষয়ে গত ২৬ মে রবিবার যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্তকতা জারি করা হয়।

রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অফিস শেষে বিভিন্ন ভবনের ফ্যান-লাইট চালু অবস্থায় এবং দরজা-জানালা খোলা রেখে রুম ত্যাগ করছেন। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে বজ্রপাতসহ ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও কাচের জানালা নীচে পতিত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ভবিষ্যতে আরো বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বিধায় অফিস শেষে ব্যবহৃত ক্লাস, ল্যাব, অফিস ও অন্যান্য রুমসমূহের বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান, দরজা এবং জানালা বন্ধ করে, নিশ্চিত হয়ে অফিস ত্যাগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে একাডেমিক শিডিউলের বাইরে বিভিন্ন বিভাগের একাধিক কক্ষের জানালার গ্লাস খোলা ও ফ্যান-লাইট চলার বিষয়ে একাধিক বিভাগীয় প্রধানের সাথে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। বিভাগীয় প্রধানরা বলেন, কিছু কিছু কক্ষে অসাবধানতাবশত জানালা খোলা ছিলো। আমরা আজ ডিপার্টমেন্টে এসেই সেগুলো খেয়াল করেছিলাম। ভিসি স্যারের নির্দেশনা অমান্যের সুযোগ নেই। আমরা আজকেই বিভাগের সকলকে এবিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বলে দিবো যাতে পরবর্তীতে এমন কিছু না ঘটে যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের ক্ষতি হয়। তবে কয়েকটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জানান, কিছু জানালা বন্ধ করা যায় না। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রিকুইজিশন দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ঠিক করে দিলে আর এমনটা হবে না।