ইবিতে হল খোলা রাখার দাবিতে ফটক অবরোধ, স্মারকলিপি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে আবাসিক হলগুলো খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ মে) বেলা ১১ টায় এই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইবি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ (ঐক্যমঞ্চ)। স্মারকলিপিতে ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয় বিবেচনা করে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ন্যায় হল খোলা রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আগামী ৬ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত মোট ২৩ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক হলগুলো ১০ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মোট ১৪ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই আসন্ন ছুটিতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে বলে জানা গেছে।
এদিকে একই দাবিতে সোমবার বেলা ১১ টায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে যায় ইবি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরা। সেখানে দুপুর ২টা পর্যন্ত (৩ঘন্টা) অপেক্ষা করেও উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেনি তারা। পরে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান ফটক অবরোধ করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে প্রধান ফটক খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে বিকেল তিনটার দিকে উপাচার্যের বাংলোতে উপাচার্যের সাথে দেখা করেন তারা। সেখানে ঈদের ছুটিতে হল খোলা রাখার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই বন্ধ থাকে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির সাথে কম-বেশি করে হলগুলাও দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়। এক্ষেত্রে দূরের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন। আবার নির্দিষ্ট ধর্মীয় কোন ছুটিতে হল বন্ধ থাকলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদেরও ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হয়। আবার লেখাপড়ার শেষ স্তরে থাকা চাকুরী প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরাও মারাত্মক অসুবিধায় পড়েন। তাই এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা হল খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি।
ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি শেখ সাকলাইন বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো সারা বছর খোলা থাকে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকে। এতে পিছিয়ে পড়ছে চাকুরী প্রত্যাশীরা। এছাড়া দুর্ভোগ পোহাতে হয় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই আমরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ বছর হল খোলা রাখা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এগুলো আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। আগামীতে আমরা হল খোলা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন