পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় মারধরের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় হোটেল/রেস্তোরাঁ মালিক মনজুর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম একই ইউনিয়নের রাজুগছ গ্রামের রাজুর ছেলে মনজুর বিরুদ্ধে মারধরের এই অভিযোগ করেন।

শুক্রবার (২১ জুন) জুম্মার নামাযের পর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বাজার সংলগ্ন শিলাইকুঠি বালাবাড়ি দাখিল মাদরাসার দক্ষিণ পার্শ্বে বাউন্ডারি ওয়ালের বাহিরে কাচা রাস্তার ওপর ‘মনজু হোটেল’ বা রেস্তোরাঁ মালিকের মেচিয়ার শকিল প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের সময় এই ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, জুম্মার নামায শেষে আরিফুল ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে মনজুর মেচিয়ার শাকিলের প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনে বাধা দিলে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এক পর্যায় হোটেল মালিকসহ আরিফুলকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে মফিজার রহমানসহ আরও কয়েকজন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এলে তাদেরও ওপর চড়াও হয়ে উঠেন হোটেল মালিক মনজু ইসলাম। পরে ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ এ বিষয়ে প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সালিশ ডাকলে হোটেল মালিক মনজু তার কর্মচারী শাকিলকে হাজির করার সময় চেয়েছেন।

জানা যায়, মনজুর হোটেলে টুনিরহাটের শাকিল নামের ছেলেটি প্রায় বছর খানিক ধরে মেচিয়ারীর কাজ করে আসছেন।
শাকিল মাদক সেবনকারী হিসেবেই চিহ্নিত তার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে।

হোটেল মালিক মনজু বলেন, শকিল ৯মাস ধরে তার হোটেলে কাজ করে আসছেন। সে গাঁজা সেবন করেন কথাটি সত্য। শুক্রবার গাঁজা সেবনের সময় আরিফুল বাধা দিলে তাদের মধ্যে একটু ধস্তাধস্তি হয়। এই সামান্য বিষয়টি বড় আকার ধারন করে। এরই ফাঁকে কে যেন থানায় জানালে শাকিলকে হোটেল থেকে সটকে দেওয়া হয়। শাকিলকে আপাতত সরিয়ে রাখা হয়েছে প্রয়োজনে হাজির করবেন জানিয়েছেন।

গাঁজা সেবনে বাধাদানকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, গাঁজার গন্ধে মুসল্লিদের অসুবিধা হচ্ছে বা এভাবে গাঁজা খাওয়া যাবেনা
বাধা দিলে গাঁজা সেবনকারী শাকিল তাকে মারধর করেন। পরে হোটেলে মালিক মনজু ও তার বাবাও তাকে মারধর করেন
বলে জানিয়েছেন।
আরিফুলের পিতা-মাতা বলেন, গাঁজা সেবনকারীকে আইনের আওতায় আনা সহ হোটেল মালিকের সুষ্টু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

এলাকাবাসি জানান, প্রকাশ্যে মাদক সেবন এর চেয়ে বড় প্রমাণ কি হতে পারে। তবুও মাদক সেবনকারী ও তার মালিকের
বিরুদ্ধে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেইনি। আমরা মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় যদি অপমান হতে হয় তাহলে বিচার পাব
কথায়?
ইউপি সদস্য আতাউর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন, যেহেতু গাঁজার বিষয় নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে তাই
মনজুর কর্মচারী শাকিলকে উপস্থিত থাকতে হবে। শাকিলকে উপস্থিত করতে মনজু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক চন্দ্র বলেন, ‘তিনি আসার আগেই ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে গাঁজা সেবনকারী শাকিলকে খুঁজে পাননি এবং মারধরের শিকার আরিফুলের পরিবারকে একটি লিখিত
অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।