সাতক্ষীরায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ত্রিশতম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচনা করেন সাতক্ষীরার একাত্তরের বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট মুনীর উদ্দিন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহিম মিল্টন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হেদায়েতুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত, শ্রমিক নেতা মহব্বত হোসেন, রবিউল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী মহুয়া মঞ্জুরী, কবি রুবেল হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।
শুরুতে কবিতা আবৃত্তি করেন স্বপ্না চক্রবর্তী ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন তীর্যক মন্ডল।
আলোচনা সভায় সাতক্ষীরার একাত্তরের বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দ্বিধাবিভক্তি দেশের মৌলবাদ বিরোধী লড়াইকে সাংঘাতিকভাবে বিভ্রান্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজন্মের কাছে বিকশিত করেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহীদ জাহানারা ইমামের শৈশব কেটেছে সাতক্ষীরায়। তিনি সাতক্ষীরায় এসেছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সংগঠিত লড়াইয়ের জন্য সাতক্ষীরাবাসীকে সংগঠিত করেন। বিশাল জনসভা করেন। জনসভায় বক্তব্য রাখেন এবং মানুষকে মৌলবাদ বিরোধী সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য শহীদ জননীর আহবানে সংগঠিত গণআদালত ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি টার্ণিং পয়েন্ট। যা বাংলাদেশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজটির পথ দেখিয়েছে। আজকে সে কাজটির সফল বাস্তবায়নের পথে হাটছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন