পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রথমবারের মতো বৃহৎ বিক্রি নিষিদ্ধ বিয়ারের চালান জব্দ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২৬ হাজার ৮ শ’ ৮০ পিচ ক্যান বিক্রি নিষিদ্ধ চাইনিজ বিয়ারসহ ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। যা দেশ স্বাধীনের পর দক্ষিণাঞ্চলে এটাই প্রথমবারের মতো বৃহৎ বিয়ারের চালান বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাপাড়া থেকে ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোল প্লাজা থেকে একটি কার্গোভ্যান সহ এসব মাদক জব্দ করা হয়। আটককৃত বাসিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রাব্বি পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দে্রর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাইনিজ ওরিয়েন্টাল পার্লে কর্মরত।
এছাড়া রুবেল মুন্সী জব্দকৃত কাগোর্ভ্যানের চালক। আটক চায়না ওরিয়েন্টাল পার্ল’র দোভাষী বাসিরুল ইসলাম ওরফে রাসেল জানান, নির্মাণাধীন পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চিনা নাগরিক ওমর ফারুক তাদের এই বিয়ার পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কার্গোভা্যানে কি মজুত করা ছিল তা তিনি জানতেন না। একই কথা জানান গাড়ি চালক রুবেলও।
তিনি বলেন, চায়নিজদের মালামাল প্রায় সময়ই ঢাকাতে পরিবহণ করতেন। তবে কি মালামাল থাকে তা জানেন না তিনি। জব্দকৃত এসব বিয়ারের বাজার (অবৈধ) মূল্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোয়েন্দা নজরদারীতে বৃহৎ এই মাদকের চালান জব্দ করতে সক্ষম হই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। তার নির্দেশেই আমরা কাজ করেছি।
তিনি বলেন, চায়না থেকে নৌ—পথে এসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটি দিয়ে সিংথাও নামের এই বিয়ার খালাস হয়েছে। পরে কার্গোযোগে সড়ক পথে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল।
এই কর্মকর্তা বলেন, এই চালানে এখনো পর্যন্ত এক চায়না নাগরিকের সংশ্লিষ্টতার কথা বলছে আটককৃতরা। তবে মামলা শেষে অধিকতর তদন্ত করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন