ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখার ফযিলত

সকল প্রশংসা যিনি খালিক মালিক রব, মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরুদ শরীফ ও সালাম।

হযরত ইমাম আবু যুরআ রহমতুল্লাহি আলাইহি অনেক বড় মুহাদ্দিছ ছিলেন। তিনি ইন্তিকাল করার পর একজন সমানিত বুযুর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি আসমানের উপর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম হয়ে নামায পড়াচ্ছেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে হযরত আবু যুরআ রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কোন আমলের কারণে এই মর্যাদা-মর্তবা মুবারক হাছিল করলেন?’ তিনি বললেন, “আমার জীবনে আমি দশ লক্ষ পবিত্র হাদীছ শরীফ লিখেছি এবং লেখার মধ্যে আমি প্রত্যেকবার ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ স্পষ্ট করে ও সুন্দর করে লিখেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘আমার প্রতি যে একবার ছলাত পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশবার রহমত মুবারক নাযিল করবেন।’ আমি দশ লক্ষবার ছলাত শরীফ (দুরুদ শরীফ) লিখেছি, যার কারণে আমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি এক কোটিবার রহমত মুবারক নাযিল করেছেন এবং উক্ত ছলাত শরীফ লেখার সম্মানার্থে আমাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম বানিয়ে দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং পবিত্র হাদীছ শরীফ লিখার মধ্যে যারা সুন্দর করে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পুরোটা লিখেন তাদের জন্য সুসংবাদ!

আর যারা লিখে না, তাদের জন্য আফসোস। মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে যামানার ইমাম ও মুযতাহিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসিলায় ফযিলত দান করুন। (আল ইহসান)