ভূরুঙ্গামারীতে খানা খন্দে ভরা রাস্তা!
ড্রেনের ময়লা ফেলে গর্ত পুরণের চেষ্টা; এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদরের সাথে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের যোগযোগের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘ দিন থেকে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এলাকাবাসী রাস্তায় বেড়া নিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ধলডাঙ্গা ঘাটপার পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেয়। এরমধ্যে বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১৬০০ মিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাই এবং অবশিষ্ট রাস্তা কার্পেটিং করার কথা। কিন্তু সাব ঠিকাদার বেলাল হোসেন পাট গুদাম এলাকায় পুরাতন রাস্তায় উপরের কার্পেটিং তুলে অন্য একটি রাস্তায় ব্যবহার করে। এরফলে ভূরুঙ্গামারী পাট গুদাম থেকে ধলডাঙ্গা বাজারগামী সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয় এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
দীর্ঘ দিনেও এটি মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় গত শুক্রবার এলাকাবাসী মুন্সিপাড়া নামক স্থানে খুটি গেড়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিলে ঠিকাদার শনিবার রাতের বেলা ড্রেনের ময়লা ফেলে রাস্তার গর্ত পুরণের চেষ্টা করলে স্থানীয় এলাকবাসী রোববার দুপুরে ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস ও উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা দ্রুত এসকল ময়লা পরিস্কার করে রাস্তার কাজ শুরু করার পরামর্ম দেন।
এব্যাপারে ঠিকাদার বেলাল হোসেন জানান, ইস্টেমেটে রাস্তার গর্ত পূরন ধরা নাই এবং দুপাশের গাছ সঠিক সময়ে না কাটায় রাস্তার কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। তিনি প্রশাসনের নির্দেশ মতো শীর্ঘই কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেন। উপজেলা প্রকৌশলী জানান, তাকে ইতিপুর্বে কয়েক বার শোকজ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন ওজুহাতে কাজ শুরু করতে বিলম্ব করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান আধা ঘন্টার মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তানাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন