আন্দোলনে নিহত সকল শহীদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহতদের ২০-৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে
জন জোট (পিপলস এলায়েন্স) কতৃক আয়োজিত কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মার্চেন্ডাইজার মাহবুব শামিমের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সমন্বয়ক এলিজা রহমানের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন জন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী। জন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন- স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশকে থেকে পালানোর সময় দেশেকে এক অন্ধকার জগতে রেখে গিয়েছে। গুম, হত্যা, খুন দূর্নীতির এক পাহাড় গড়েছিল স্বৈরাচার মাফিয়া হাসিনা। তাকে এই দেশে এনে জনতার আদালতে হাজির করতে হবে এবং জনতার রায়ে বিচার করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ঠিকই কিন্তু এই আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে শহীদ করেছে হাসিনা এবং আহত করছে লক্ষ মানুষ ।
তাই নিহত শহীদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহত পরিবারকে ২০-৫০ লক্ষ টাকা সহয়তা প্রদান করতে হবে।
মুজাম্মেল মিয়াজী নতুন তত্বাবধায়ক সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন-শেখ হাসিনার মত জালিম সরকারের সৃষ্টি হোক বাংলাদেশের জনতা আর দেখতে চায়না। তাই জনগণের পাওয়ারকে আরো শক্তিশালী করতে সংবিধান সংস্কার করুন এবং জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা হাতে নিন।
বক্তব্য রাখেন জন জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হারুন- অর- রশিদ। তিনি বলেন শেখ হাসিনার দেশে আজ ১৬ বছর পর পূনরায় স্বাধীন হল। দেশের মানুষ দীর্ঘ শান্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা এই তত্ববধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ্। অবশ্যই আন্দোলনে শহীদি পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহতদের ২৫-৫০ লক্ষ টাকা সহয়তা প্রদান করত হবে।
জন জোটের কেন্দ্রীয় নারী সমন্বয়ক রেশমা আক্তার বলেন, শেখ হাসিনার দেশ আজ পূনরায় স্বাধীন হল। এই স্বাধীনতা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আশাকরি জনগণ তাঁদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ্।
বক্তব্য রাখেন ভাসানী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুজ্জামান হিরা। তিনি বলেন এই সরকারের পতনে দেশে আজ আনন্দের হাওয়া বইছে এবং দেশের মানুষ বিজয়ের আনন্দ করছে।
বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব পার্টির সমন্বয়ক আহমেদ শাকিল – তিনি বলেন দেশে এক মহা বিপ্লব হয়েছে এবং বিপ্লবীদের বিজয় হয়েছে।
সভার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মার্চেন্ডাইজার মাহবুব শামীম তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির অধীনে ভারত গণহত্যাকারী স্বৈরাচার হাসিনা ওয়াজেদকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারে। এখন ভারতের কাছে বাংলাদেশের মানুষের একটিই দাবী। ভারতের উচিত এই দাবীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে উচিত কাজটি করা।
তিনি ডঃ ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানান। রুটিন কাজের সঙ্গে এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করার আবেদন জানান। তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে বিচার বিভাগ, দুদক ও নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক ভাবে স্বাধীন করতে কমিশন গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং জন জোটের পতাকা তলে শামিল হতে আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আরো বক্তব্য প্রদান করেন জন জোটের কেন্দ্রীয় শ্রমিক সমন্বয়ক হাসান আলী স্বপন, কেন্দ্রীয় যুব সমন্বয়ক মোহাম্মদ মাসুদ মুন্সি,কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেজবাহ সরোয়ার সহ প্রমুখ নেতৃত্ববৃন্দ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন