রাঙামাটিতে যানবাহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় পরিবহন ভাঙচুর ও চালকদের মারপিটের ঘটনায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এছাড়া খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র–জনতার ডাকে রাঙ্গামাটিতে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে।

সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ও যানবাহ ধর্মঘটের কারণে আজ রাঙ্গামাটিতে সবকটি সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যানবাহন ও নৌ পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের অভন্তরীণ রুটেও কোনো যান বাহন চলাচল করছে না।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫৪ জন আহত হয়েছেন।

বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ। এদিকে এ সংঘর্ষের প্রতিবাদে পাহাড়িরা তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে।

এ অবরোধের সমর্থন জানিয়ে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।

রাঙামাটি ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আকাশ জানান, এ ঘটনায় তাদের ১০টি ট্রাক ভাঙচুর করেছে পাহাড়িরা। এছাড়া তাদের দুজন চালককে গুরুতর আহত করেছে।

রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির নেতা মঈনুদ্দীন সেলিম জানান, পাহাড়িরা তাদের তিনটি বাস ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাঙামাটি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, পাহাড়িরা তাদের তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। পাঁচজন চালককে বেধড়ক মারধর করেছে।