মাদারীপুরে ফাইল আনতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থী নার্সকে আহত করার অভিযোগ
মাদারীপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী কোর্সের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট নার্স কেয়া বিশ্বাস কে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যবস্থাপত্রের ফাইল আনতে দেরি হওয়ায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনমুন নাহার লিপি কেয়া বিশ্বাস কে বোর্ড দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ওই ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীরা রোস্টার অনুযায়ী তাদের কোর্সের অংশ হিসেবে প্রতিদিন নিয়মিত সদর হাসপাতালে স্টুডেন্ট নার্স হিসেবে চিকিৎসকের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে কেয়া বিশ্বাস তার সিডিউল দায়িত্ব পালন করেন ডা. মুনমুন নাহার লিপি এর অধীনে। রোগীদের অতিরিক্ত চাপ থাকায় কেয়া বিশ্বাসের ফাইল আনতে দেরি হওয়ায় ওই ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রের বোর্ড দিয়ে ঘাড়ে জনসম্মুখে আঘাত করে। এতে তিনি আহত হন এবং লাঞ্চিত হন। এই ঘটনা তার সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করার পরে তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে জড়ো হন সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে।
আহত ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী কেয়া বিশ্বাস বলেন, আমি ওই ডাক্তারের সাথে রাউন্ডে ছিলাম। ওনি আমাকে রোগীর ফাইল আনতে বলে, অনেক রোগীর চাপ ছিল বিধায় ফাইল খুজে পাইনি। পরে ফাইল পেয়ে আনতে দেরি হওয়ায় ওনি আমাকে ঘাড়ের উপর বোর্ড দিয়ে বারি মারে। ওখানে অনেক পাবলিক ছিল। এতে আমি আহত হই এবং লাঞ্চিত হই। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
৩য় ব্যাচের সোমা মন্ডল বলেন, নার্সিং পেশা কে কলঙ্কিত করবার জন্য আজকে আমার সহপাঠীকে অন্যায়ভাবে লাঞ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে যেন অন্য কেউ লাঞ্চিত না হয়। তার জন্য আমরা ওই ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
স্টুডেন্ট নার্সেস এসোসিয়েশনের সভাপতি সাব্বির আহসান (৩য় ব্যাচ) বলেন, ওই শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করছি না।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মুনমুন নাহার লিপি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। উল্লেখ্য, ঝাউদি ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. মুনমুন নাহার লিপি। তিনি সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে সহকারী সার্জন হিসেবে কর্মরত আছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, আমরা স্টুডেন্ট নার্সের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি। যদি ওই ডাক্তারের আচার আচারণ শৃঙ্খলা পরিপন্থী হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন