জামালপুরের মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখছে পাল পাড়ার মহিলারা

সরকার মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষ প্রকল্প হাত নিয়েছে। প্রকল্পের মধ্যে মৃৎশিল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করা। ফলে জামালপুরের পাল পাড়ার মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানাযায়, জামালপুর শহরসহ সদর উপজেলাধীন নাদিনা, ও নরুদি এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী হিদু পাল সম্প্রদায়ের লোকেরা আজও মৃৎশিল্প টিকিয়ে রেখেছে। সরেজমিনে, জামালপুর শহরর পালপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, মহিলারা মাটির তৈরি হাড়ি, পাতিল, কলস, কাদাসহ নানা ধরনের খেলনা সামগ্রী তৈরি করছে। কথা হয় লক্ষী রানী(২৮) পার্বতী(৩০) এর সাথে তাঁরা আওয়ার নিউজের এ প্রতিবেদকে বলেন, মাটির তৈরি সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ময়মনসিংহ গফরগাঁও সহ আরাে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা মাটির তৈরি সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে। পার্বতী আরাে বলেন, পূর্ব পুরুষদের পেশা হারিয়ে যাচ্ছে এটাকে আমরা টিকিয়ে রখছি। তাই, সরকারি অনুদান ও সহায়তা পেলে এ পেশা আরাে বিস্তার লাভ করবে।

এদিকে নাদিনা ও নরুদি এলাকায় ব্রহ্মপুুত্র নদের পাড়ে হিন্দু পাল সম্প্রদায়ের লােকেরা বসবাস করছে। তারা আজও পূর্বপুরুষের পেশা ছাড়তে পারেনি। পরিতােষ নামে এক মৃৎশিল্পী সাথে কথা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পাল পাড়ার প্রায় সব মহিলা মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য সবধরনের সামগ্রী তৈরি করছে। সপ্তাহে শুক্রবার ও সােমবার নাদিনা হাট পাল পাড়ার মহিলারা তাদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে নিয়ে আসে। চাহিদা থাকায় বেচাকনা ভালাে হয়।

এ প্রসঙ্গে পাল পাড়ার প্রবীন শিল্পী প্রদীপ চন্দ্র পালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, মৃৎশিল্প আমাদের ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে পাল মহিলাদের কারনে আজও রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ পেশা হারিয়ে যাবে না। যতদিন পাল সম্প্রদায় থাকবে ততদিন টিক থাকবে।