মানুষের পাশে থেকে মানবতা রক্ষা করা জামায়াতের ধর্ম : চুয়াডাঙ্গায় জামায়াত আমীর

দীর্ঘ ১৫ পনের বছর পর মনে হচ্ছে এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। চারিদিকে গণতন্ত্রের আকার তৈরী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামায়াতে ইসলামী বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণহত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশে অস্থিরতাও তৈরী হয়েছে। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ থাকলেও ছিলো না জামায়াতে ইসলামী। বেশিরভাগ ব্যস্ত থাকলেও জামায়াতের নেতারা সেসময় থেকেই জনসেবায় ব্যস্ত রয়েছে। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় বন্যার্তদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতাসহ ছাত্রআন্দোলনে নিহতের পরিবারে ও আহতের চিকিৎসায় সহায়তা করে আসছে। চলমান রেখেছে সারা দেশে সভা সমাবেশ। সেই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার হোটেল সাহেদ প্যালেসে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে ও জেলা আমির ও রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। সেসময় তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, কে হিন্দু কে মুসলমান সেটি বড় কথা নয়। মানুষের দেখভাল ও মানবতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, মানুষের পাশে থেকে মানবতা রক্ষা করায় আমাদের ধর্ম।

‘আসুন আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করি। বিভক্তি নয়, ঐক্যই হোক এ জাতির সৌন্দর্যের প্রতীক।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতা ও আমাদের দাবিতেই আপনারা ক্ষমতায়। যারা দায়িত্বে আছেন তারা ভুল করলে আমরা তা ধরিয়ে দেবো। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আবেগবশত এখন দু-একটি জিনিস হয়ে যাচ্ছে, এটা হওয়া উচিত নয়।’

প্রতিবেশী দেশ ভারতকে নিয়ে আলাদাভাবে কিছু বলতে চাই না, জানিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, ‘ভারত ছাড়াও আরও অনেক প্রতিবেশী দেশ আছে আমাদের। আমাদের প্রত্যাশা, আমরা মিলে মিশে পারস্পরিক মর্যাদা এবং সমতার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেব।’

এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমানসহ কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার জামায়াত নেতৃবৃন্দ এ সমাবেশের আলোচনায় অংশ নেন ।