বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালককে নতুন রিকশা দিলো বিএনপি

তৈরি পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি সাবেক স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী মালিকদের পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

গত কয়েকদিন আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় অস্থিরতা সৃষ্টির প্রসঙ্গ টেনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালক সাইফুল ইসলামকে নতুন রিকশা প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। এতে আর্থিক সহায়তা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা তো আলামত দেখছি, গতকাল একটা ঝামেলা হয়েছে পোশাক কারখানায়। ঘটনা হচ্ছে যে, যারা পোশাক কারখানার মালিক, যারা শেখ হাসিনার অত্যন্ত সুবিধাভোগী- তাদের কারখানার লোকরা এসে অন্য যেসব কারখানা নিরপেক্ষ অথবা বিএনপি সমর্থিত লোকজনের কারখানায় এসে তারা হামলা করেছে। এটাতো আমরা তথ্য নিয়ে আপনাদের বলছি।’

তিনি বলেন, ‘কে নজরুল ইসলাম? কে সালাম মুর্শেদী? এরা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নয়? এরা আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন না? এদের পোশাক কারখানা থেকে এসে একটা কৃত্রিমভাবে, পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে। যেন ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যায়, এটা যেন টিকে থাকতে না পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ওরা করছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এটা শুধু পোশাক কারখানায় নয়, যেমন পাবর্ত্য চট্টগ্রামে একটা তুচ্ছ ঘটনাকে নিয়ে একটা বড় ঘটনা হলো। প্রকৃত স্বৈরাচারের দুষ্টচক্র প্রশাসক থেকে শুরু করে সব জায়গায় তারা সুতার টান দিচ্ছে এবং একটার পর একটা ঘটনা তারা এখানে ঘটাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে ঘাপটি মেরে আছে শেখ হাসিনার অনুচরেরা। তবে কোনো চক্রান্তকারী চক্রান্ত করে তাদের প্রভুদের কাছ থেকে মদদ নিয়েও আর কিছু করতে পারবে না। জনগণের শক্তি সর্বোচ্চ শক্তি, এটা ভুলে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এ কারণে জনগণের ভোট নেওয়ার চাইতে তিনি নির্বাচন-ভোটের প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে র‌্যাব-পুলিশকে শক্তিশালী করেছিলেন। তার ভোটের দরকার ছিল না।’