শ্রমিক অসন্তোষ মনিটর করছি, আশা করছি শান্ত হবে সবাই : শ্রম সচিব

শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি মনিটর (পর্যবেক্ষণ) করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের অবরোধ প্রসঙ্গে শ্রম সচিব বলেন, আমরা প্রত্যেকটি জিনিসই অ্যাড্রেস করছি, সেখানে ল অ্যান্ড অর্ডার যেটা আছে, সেটা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাই আমরা মনিটর করছি। আশা করছি শান্ত হবে সবাই।

বুধবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শ্রম সচিব এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে শ্রম সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, দেশে উৎপাদনের পরিস্থিতি যেটা দরকার, আমাদের অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য, মালিক ও শ্রমিকপক্ষ-সবাইকে অন বোড করে আমরা এটা নিরসন করবো।

তিনি আরও বলেন, শিশুশ্রম থাকলে শিশুদের বিকাশ হওয়ার সুযোগ থাকে না। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হওয়ার কথা কিন্তু আমাদের দেশে এখনো তা পুরোপুরি হয়নি বন্ধ।

শিশু শ্রম জিরো করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সরকারের একক প্রচেষ্টায় শিশুশ্রম নিরসন সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। সরকার শিশুশ্রম নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সচ্ছতা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

শিশুশ্রম নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করার কথা বললেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শিশুশ্রম নিরসনের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে গত ১৫ বছরে দেশি-বিদেশি অনেক অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এসব ব্যয়কৃত অর্থের বড় একটা অংশ লুটপাট হয়েছে। আমরা আশা করবো বর্তমান অন্তর্বতীর্কালীন সরকার শিশুশ্রমের নিরসনের নামে যে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে, যে লুটপাট হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সচিব আব্দুস সামাদ আল আজাদ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন দল শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ ও রানারআপ দল কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের ট্রফি সার্টিফিকেটসহ যথাক্রমে নগদ অর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বক্তা কবি নজরুল সরকারি কলেজর বিতার্কিক বাদশা ফাহাদকে নগদ অর্থ পুরস্কার ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।