নৃত্যের মাধ্যমে সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন দিনাজপুরের নৃত্যশিল্পী ইতি

নৃত্য মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি, নৃত্য প্রদর্শনী দেখলে মানুষ তার যোগাযোগের বিভিন্ন আঙ্গিকের সঙ্গে তুলনা করে কেননা নৃত্য এবং ভাষা কাজ করে এক সূত্রে আর সেই নৃত্যর মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন দিনাজপুরের নৃত্যশিল্পী মাহমুদা খাতুন ইতি।

নৃত্যশিল্পী মাহমুদা খাতুন ইতির সাথে দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি মো: নাজমুল ইসলাম নয়ন এর আলাপচারিতায় জীবনের কথা, নৃত্যচর্চার কথা, নাচ নিয়ে তার স্বপ্নের কথা।

বাবা চাকরিজীবী মোঃ মাহফুজুল্লাহ মা গৃহিণী নুরজাহান বেগম চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট নৃত্যশিল্পী মাহমুদা খাতুন ইতি। নৃত্য শিল্পী হয়ে ওঠার পিছনে যার সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন মা নুরজাহান বেগম। চতুর্থ শ্রেণী থেকেই নৃত্য শিখেছেন তবে শুধু নৃত্য মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি চালিয়েছেন পড়াশোনা এলএলবি পাস করেছেন। দিনাজপুর শিল্পকলার নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব একটি তা থৈ নামের একটি নাচের দোল।

প্রাচীন মানুষের ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন বস্তু নিদর্শনের মতো নৃত্যকলার তেমন কোন বস্তু না পাওয়া গেলেও নৃত্যকলা প্রাচীন মানবের বিভিন্ন আচার উৎসবে নৃত্যের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন নৃত্যকলার আরো প্রমাণ মেলে শূদ্রকের মুচ্ছোকটিক গ্রন্থে। মে পরিবেশিত নৃত্য এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রদর্শনী একে সঙ্গীতা অনুষ্ঠানের নৃত্য বলা যায় ,আর সেই নৃত্যকেই বিভিন্ন প্রতিক‚ লতা উপেক্ষা করেই দেশ ও দেশের বাইরে তুলে ধরেছেন দিনাজপুরের নৃত্যশিল্পী মাহমুদা ইতি। এই নৃত্য উপস্থাপনের মাধ্যমেই নিজের ঝুড়িতে তুলেছেন দেশ-বিদেশের সনদ ও সম্মাননা স্মারক।

মাহমুদা খাতুন ইতি নৃত্যের মধ্য দিয়ে দেশের সংস্কৃতিকে সবার সামনে তুলে ধরে সংস্কৃতিকে উপস্থাপন এবং তার বিনিময় প্রকাশ করতে চান।