মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হজা ডাকাতকে কুপিয়ে জখম, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা বড় পাড়া গ্রামের হযরত আলী (৬৫) ওরফে হজা ডাকাতকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নিহত হজা ওই গ্রামের মৃত জজ আলীর ছেলে ও দুই সন্তানের জনক।

রোববার (৬ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাভারস্থ এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেম মীর্জা নিশ্চিত করেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) নিহতের লাশ পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে বাস্তা- গাজিন্দা মাদ্রাসা কালভার্ট সংলগ্ন স্থানে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরে হজা ডাকাতকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারস্থ এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন হযরত আলী গরু বিক্রি করতে স্থানীয় জয়মন্টপ হাটে যাচ্ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় তার মেয়ে মিতু আক্তার বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হযরত আলী এলাকায় অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাকে লোকজন হজা চোরা ও হজা ডাকাত হিসেবেই চিনত। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিপক্ষ সাইফুলদের পরিবারের ওপর জুলুম করে আসছিল বলেও জানান তারা।

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি স্পটে ছিলাম না। শুনেছি ঘটনার দিন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার ভাতিজা জুয়েলের ওপর চড়াও হলে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চুরি ও অসামাজিক কাজ থেকে শুরু করে মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, বসতবাড়িতে হামলা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়াসহ এমন কোনো অপকর্ম নাই হজা ডাকাত করেননি। আমাদের পক্ষ থেকে ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা আছে।

এদিকে,১৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হযরত আলীর মৃত্যু হওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে ৩০২ ধারা যুক্ত হবে বলে সিংগাইর থানার ওসি মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন। সেই সঙ্গে দ্রুত জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।