নরসিংদীর রায়পুরাতে ৩ ভূমিদস্যুর মিথ্যা ফাদে পড়ছে অনেকেই
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা থানার পাশের বাসিন্দা সোহেল। তিনি নিজস্ব অর্থ দিয়ে জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবত ৩ ভূমিদস্যুর ফাদে পড়ে থানা ও এসিল্যান্ড অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা যায়।
এদিকে রায়পুরা উপজেলায় সংবাদকর্মীরা পৌর এলাকার ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ব্যক্তি সীতা রানী সংবাদকর্মীদেরকে বলেন, সেন্টু মিয়া সহ তারা ৩ ভূমিদস্যুদের কারনে আমরা রায়পুরা উপজেলায় জমি ক্রয় করতে গেলে তাদের ফাঁদে পড়তে হয়। অনেক পরিবার তাদের ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও এরা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এদিকে রায়পুরা পৌর এলাকার আসাদ মিয়া জানান, সোহেল প্রকৃতপক্ষে এলাকার ভালো একজন মানুষ। সে নগদ টাকা দিয়ে এখানে একটি জমি কিনলে হায়েনাদের মতো সেন্টুসহ ৩ ভূমিদস্যু এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করে। কিন্তুু প্রকৃতভাবে গ্রাম্য শালিশ সহ পৌরসভায় তাদেরকে ডাকলে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সালিশের তারিখ বসালে তারা অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়ায়।
এদিকে রায়পুরা পৌর এলাকার ব্রিজের পাশে থাকা এক ব্যবসায়ী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে, সেন্টু সহ তার বাহিনী একটি লাঠিয়াল বাহিনী তৈরী করে। ৫ই আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতন হলে কিছু দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসী নিয়ে একটি রাজনৈতিক পরিচয়কারী একটি অফিস রাতের আধারে করে ফেলে। কিন্তুু সোহেল একজন ভালো মানুষ হওয়ায় গ্রাম্য সালিশের প্রতি তার সম্মান রয়েছে।
কিন্তুু এই ভূমিদস্যুরা আইনের কোন তোয়াক্কা করে না। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ভূমির বিষয়ে অভিযোগ উঠে আসলেও প্রভাব খাটিয়ে তারা এসকল কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সংবাদকর্মীরা সেন্টুর নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। উল্টো নিজের প্রতি সাফাই গাইতে থাকেন। তাকে পৌরসভা ও থানায় সালিশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, সোহেল ক্ষমতাশালী লোক নিয়ে বসে থাকে তাই আমরা যেতে আগ্রহী নই। উক্ত জায়গার বিষয়ে কিছু কাগজপত্রে জটিলতা আছে বলে তিনি জানান।
এদিকে প্রকৃত মালিক সোহেলের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি সম্পত্তিটি ক্রয় করে আসছি। এই ভূমিদস্যুরা আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি সহ আমার জমি বেদখল করার চেষ্টা চালায়। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখায় আমার এই দুর্বলতাকে ইস্যু করে ৫ই আগস্ট রাতের আধারে কিছু দুস্কৃতিকারী লোকজন এনে আমার জমিটি রাতের আধারে দখল করে নামে বেনামে একটি অফিস করেছে। তাই বর্তমান সরকারের নিকট আমার প্রকৃত জমি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
এদিকে নরসিংদী আদালতে একটি মামলা হলেও মামলার রায় মানছে না সেন্টুবাহিনী। এই জমির বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আদালতকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে উক্ত জমি বেদখল করছে তারা।
এদিকে রায়পুরা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিকট সোহেল সহ তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি এ বিষয়ে অভিযোগ আসে তাহলে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী সংবাদকর্মীদেরকে জানান, যেহেতু এ জেলায় নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি অবগত নই। এ বিষয়টি দেখভাল করে রাজস্ব কর্মকর্তারা। সোহেল নামক ব্যক্তিটি যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে প্রকৃত জমির মালিককে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আইনগত সহায়তা করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন