জামালপুরে আগাম সবজি চাষে কৃষককূল স্বাবলম্বি
গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে আগাম জাতের সবজি চাষ করা। এ প্রকল্পে জেলার ৭টি উপজেলার কৃষকরা স্বাবলম্বি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি গ্রামীন অর্থণীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
জানা যায় জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলা সর্বত্র বিভিন্ন শাকসবজি চাষ হয়ে থাকে। আগাম সবজি চাষের জন্য কৃষি বিভাগ ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হককে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন আগাম সবজি চাষের জন্য লক্ষিরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশিরচর, কাজিয়ার চর সহ আরো বেশ কয়েটি এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করে।
এসব এলাকার কৃষকরা বিভিন্ন আগাম জাতের সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। সরজমিনে এই এলাকাগুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে এর মধ্যে লক্ষিরচরের মালেক (৫০), কাজিয়ার চরের শহিদ আলী (৪৮), জানান কৃষি বিভাগের সহায়তার কারণে আগাম সবজি চাষকরে চাপ সাফল্য পেয়েছি। সবজি বিক্রি করে লক্ষ্যধিক টাকা আয় হয়েছে।
কৃষি বিভাগের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি বিভাগের কাজে ব্যাপক সহায়তা করেছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, মেষ্টা, বালিজুড়ি, নাকাটি, লাঙ্গলা, আধরা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে নানা ধরনের সবজির সমারোহ। সবজি চাষ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিগত কোন মৌসমে হয়নি।
এ ব্যাপারে এসব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, আগাম সবজি চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষক কে সহায়তা করা হয়েছে। যার জন্য গ্রামীণ অর্থনীতির চেহারা পাল্টে গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন