চুয়াডাঙ্গায় ভেজাল খাদ্য বিক্রি, ৪ লাখ টাকা জরিমানা

চুরি ডাকাতি ছিনতাইসহ যেসকল অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে-তার মধ্যে বড় অপরাধ মানুষকে খুন করা। সমাজের বিভিন্ন জটিলতায় এ ধরনের অপরাধ চলমান থাকলেও তার চেয়ে বড় অপরাধে পরিলক্ষিত ভেজাল খাদ্য বিক্রি করা। উপরোক্ত অপরাধে মানুষ গুটিকয়েক ক্ষতিসাধিত হলেও একশ ভাগ ক্ষতিসাধিত হয় ভেজাল খাদ্য ব্যবহারে।

এ ভেজাল খাদ্যের ব্যবহারে মানুষের অপমৃত্যু হচ্ছে সবসময়। তারপরও সমাজ দূর করা যাচ্ছে না ভেজাল খাদ্য বিক্রি। নিরসনকল্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা বন্ধে চুয়াডাঙ্গায় টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করেছে।

আজ বুধবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোডে মেসার্স জনি স্টোরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের নিম্নমানের নকল ও ভেজাল শিশু খাদ্য, যৌন উত্তেজক সিরাপ জব্দ করা হয়।

সেসময় নকল ও ভেজাল আইনের অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানটির ৬টি গোডউন সিলগালা এবং ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর এবং জেলা মার্কেটিং অফিস এবং ছাত্রজনতার সমন্বয়ে যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সেসময় মেসার্স জনি স্টোর মালিক জনি দীর্ঘ দিন ধরে ভেজাল নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য ও যৌনউত্তেজক সিরাপ বিক্রি করাসহ গোডাউনজাত করে আসছিলো। তিনি চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলায় এসব সকল পণ্য সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে টাস্কফোর্স অভিযান চালানো হয়।

সেসময় তার দোকানে ও গোডাউনে বিপুল পরিমান ভেজাল নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য ও যৌনউত্তেজক সিরাপ পাওয়া যায়। এই অভিযোগে এর মালিক জনিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও দোকানসহ ৬টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। এসময় দোকান ও পরিবেশক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ করবে না অঙ্গিকার করে।

চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ খাদ্য অফিসের নমুনা সংগ্রহকারী নাসের উদ্দীন বলেন, এর আগেও গত বছর জনি স্টোরকে একই অভিযোগে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এসময় নিম্নমানের চাটনির নমুনা পরীক্ষা করলে শিশুর শরীরিক মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভবনার কথা জানান।

চুয়াডাঙ্গা টাস্কফোর্স অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, এর আগেও মেসার্স জনি স্টোরকে সতর্ক করার পরেও নিম্ন মানের প্রচুর ভেজাল শিশু খাদ্য বিক্রির অভিযােগে প্রতিষ্ঠানটির ৬টি গোডাউন সিলগালা এবং নগদ ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মার্কেটিং অফিসার রাশেদুজ্জামান, সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জুলফিকার আলী নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তেরর নমুনা সংগ্রহ কারী কর্মকর্তা নাসের উদ্দিন এবং ছাত্র প্রতিনিধি মুসফিকুর রহমান, ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।