চুয়াাডাঙ্গায় বিশ্বাস ট্রেডার্স ও দিশা এগ্রোকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

ভেজাল শব্দটা যেন যাচ্ছে না সমাজ থেকে। একদিকে, যেমন ভেজাল জিনিসের সয়লাব তেমনি অতিরিক্ত দামে জিনিস বিক্রি করা বন্ধ করছে না ব্যবসায়ীরা। তবে ভেজাল আর অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি বন্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সবসময় অভিযান অব্যহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে জেলা টাস্কফোর্স ও জাতীয় ভোক্তার অধিকার অধিদফতর যৌথ অভিযান চালিয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ও ভালাইপুর বাজারে দুপুর ১টা থেকে দুপুর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে সার ও কীটনাশকের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

সজল আহম্মেদ জানান, সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ও ভালাইপুর বাজারে জেলা টাস্কফোর্স ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করা করে সার-কীটনাশক, বীজ, সবজি বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

সেসময় আলুকদিয়ার মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স নামক সার ডিলার প্রতিষ্ঠানে পূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক দামে সার বিক্রি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রি, যথাযথভাবে ভাউচার প্রদান না করায় ২০২১ সালের মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক মেয়াদ টেম্পারিং করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

আইন অমান্য করে পুনরায় একই ঘটনার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইকতিয়ার উদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০, ৫১ ও ৫৫ ধারায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সেসময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ টেম্পারিং কীটনাশকগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। অপরদিকে, ভালাইপুর এলাকায় অপর একটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দিশা এগ্রো ট্রেডিংয়ে তদারকিতে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার সাদিকুর রহমানকে ৪০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে সবজি বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। সেসময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রি, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়।

অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, ক্যাব প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি সহযোগিতায় ছিলেন।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম।