শেবাচিম হাসপাতালের আলোচিত কর্মচারী মিলন কারাগারে
চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (অফিস সহায়ক) মোঃ ইউসুফ আলী মিলনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা নাম্বার সি. আর ১২৯৯/২০২৪ তে আদলতে তার জামিন নাম মঞ্জুর হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২ জানুয়ারী উত্তর সাগরদী সিএন্ডবি রোড এলাকায় বসবাসরত মৃত আবু বকর সিদ্দিকের পূত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় মিলন। টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ করার অঙ্গিকার দিয়ে একটি চেক প্রদান করেন। নির্দিষ্ট তারিখে ব্যাংকে সেই চেক দিয়ে টাকা উঠাতে গেলে একাউন্টে টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়।
পরে মিলনের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা না পেয়ে প্রতারণা মামলা করেন ভুক্তভোগী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটাই ইউসুফ আলী মিলনের প্রথম প্রতারণা নয়। শেবাচিম হাসপাতালে রয়েছে তার বিরূদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের প্রভাব খাটিয়ে মাত্র কয়েক মাসে কোটি টাকা কামিয়েছে মিলন। স্বাচিব নেতা ডা. সায়েম এর ছত্রছায়ায় শেবাচিমে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়।
তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে পরিচালক সহ উর্দ্ধতনরাও। এছাড়াও আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বণে যায়। কর্মচারীদের ডিউটি রোস্টার সুবিধা মত করে দেয়া। আউটসোসির্ং কর্মচারীদের নিকট থেকে টাকা নেয়া ও হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল গোপনে বিক্রি সহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন ইউসুফ আলী মিলন।
হাসপাতালে উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যবহৃত লোহার এঙ্গেল গোপনে বিক্রি করতো মিলন। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বিচারের আওতায় আনতে গেলে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিম্মি করে রাখতো এই মিলন। কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ায় একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।
ফলে হাসপাতালের বিচার বোর্ডে সে দোষী প্রমানিত হলেও কোন বিচার হয়নি তার। এছাড়া আওয়ামী আমলে জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের বিপক্ষে গিয়ে শান্তি সমাবেশ করা ও ছাত্রজনতার উপর হামলায় কর্মচারীদের নেতৃত্ব দেয় মিলন। এদিকে গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলেও বহাল তবিৎয়তে রয়ে যায় এই মিলন। ম্যানেজ করে কয়েকজন বিএনপি কর্মীসর্মথকদের নিয়ে আবারও শেবাচিমে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।
তবে সাধারণ কর্মচারী মিলনের অত্যাচার ও এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ সহ সংশ্লিষ্টদেও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষযে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা অফিস সহায়ক ইউসুফ আলী মিলনের কারাবাসের বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন