চাঁদাবাজির অভিযোগ জবি ছাত্রীহল কর্মকর্তা আনোয়ারের বিরুদ্ধে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের একমাত্র কর্মকর্তা মো আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার রাফসান জানি রুবেল।

ক্যান্টিন ম্যানেজার রুবেল দৈনিক ভোরের দর্পণ কে বলেন, ক্যান্টিন চালাতে হলে আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা আর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে এবং তার কথা মতো চলতে হবে। তা না হলে আমার টেন্ডার বাতিল করে দেওয়া হবে।

হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। ল্যাব টেকনিশিয়ান থেকে সেকশন অফিসারের এই পদোন্নতি পর্যন্ত তার নামে পাওয়া গেছে নানা অনিয়ম।

হলের কর্মচারীদের স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, তিনি কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হুমকি ধমকি এমনকি চাকরিচ্যুত করার ভয় প্রদর্শন করেন। ইতিমধ্যে হলের চার কর্মচারী কে বদলি হতে বাধ্য করেছেন। এমনকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার ছেলেকে দিয়ে কর্মচারীদের অপমান অপদস্থ করানোর ভয় দেখান তিনি।তার এসব অমানবিক আচরণে কর্মচারীরা প্রসাশন বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দেন। অফিস সেক্রেটার,ওয়ার্ডেন, সিকিউরিটি গার্ড, ক্লিনারসহ ২০ জন এই অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ি। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী থেকে সব ধরনের বিষয়াদি উনাকে জানাতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আমাদের সমস্যাগুলো হাউজ টিউটরদের পর্যন্ত জানান না। প্রভোস্ট ম্যামদের বলতে গেলে শুনতে হতো তারা এসব জানেই না। এদিকে আমরা এক সমস্যা নিয়েই দুই তিনবার আবেদন অফিসে জমা করেছি।

এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় আনোয়ার হোসেনের অনিয়মে পদোন্নতির সংবাদ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে তাকে বদলি করা হয় পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তরে। কোষাধ্যক্ষের আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে ল্যাব টেকনিশিয়ান থেকে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ পদোন্নতি লাভ করেন তিনি। পরিকল্পনা দপ্তর থেকে বদলি হয়ে হল কর্মকর্তা হন।

অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ একদম মিথ্যা। আমি এ ধরনের কাজ কোনোদিন করিনি । কোনো কর্মচারী বা শিক্ষার্থীদের সাথে কোনোদিন অশোভন আচরণ করিনি।