ভিক্ষার হাতকে কর্মসংস্থানের হাতে রূপান্তরের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিলেন গৌরীপুরে ইউএনও
অভাবের তাড়নায় জীবণযুদ্ধে পরাজিত তোতা মিয়া ভিক্ষা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খেয়ে নাখেয়ে সংসার চালোতো। এবার তার এই কষ্টের জীবন নির্বাহ শেষ করতে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভিক্ষুক পুর্নবাসন কর্মসূচীর আওতায় তোতা মিয়াকে দোকান ঘর ও দোকানের মালামাল উপহার প্রদান করা হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আয়ুব।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা তোতা মিয়া বলেন, ‘কিতা করুম, যখন মাইল্যা হেডে (পেটে) খিদা লাগে। পুলাপান উভাস (উপোস) তাহে, হানি (পানি) খায়া দেনরাইত যায়, তহন চাইয়্যা-চুইয়্যা যানডারে বাছাই। এহন আর এইতা লাগতো না।’ তিনি আরো বলেন, ভিক্ষা একটি লজ্জাজনক কাজ। এটা বুঝেও নিরুপায় হয়ে সেই কাজ করেছি। এ কাজে ‘লাজ-লজ্জা, অপমান সহ্য করতে হয়। আজ থেকে সেই দিন বদলে নিবো।
ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ বলেন, প্রত্যেকটি ভিক্ষুকের অচল হাতকে ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত করে কর্মের হাতে রূপান্তর করতে চাই। ভিক্ষাবৃত্তি কখনও কাম্য নয়। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক ভিক্ষুককে পুর্নবার্সন কর্মসূচীর আওতায় নতুন কর্মসংস্থান করে দেয়া হয়েছে। তোতা মিয়াদের মতো সকলকে স্বাবলম্বী করা হবে। ওরাও নতুনভাবে বেঁচে থাকবে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আয়ুব বলেন, উপজেলায় ভিক্ষুক পুনবার্সনের আওতায় অটোরিকশা উপহার দেয়া হয়েছে রামগোপালপুর ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের মোকমিনা খাতুন, ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের পালান্দর গ্রামের আমিনা খাতুন, ডৌহাখলা ইউনিয়নের সিংজানী গ্রামের আবুল কাশেমকে; গাভী উপহার দেয়া হয়েছে মাওহা ইউনিয়নের বীর আহাম্মদপুর গ্রামের আনিছুর রহমান ও বোকাইনগর ইউনিয়নের মামুদনগর গ্রামের হেলেনা বেগমকে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কর্মসূচী চলমান রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন