পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে বাদুরা নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজ বাড়ির সামনে কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটিতে পরীক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বাস্তব চিত্র ছিল উল্টো।
তার এক ছেলে গণভবনে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাধে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাগণ তাকে সমীহ করে চলতো।শেখ হাসিনার মায়ের নামে মাদ্রাসা করায় সরকারী বরাদ্দে নির্মিত হয় বহুতল একাডেমিক ভবন।মিরুখালী ভুতার খালে বাধ দিয়ে তৈরি করা হয় মাদ্রাসার চলাচলের পথ।
নির্মাণ করা হয় মাদ্রাসার গেট।আর এ বাধ অপসারণ নিয়ে এলাকায় তার প্রতিপক্ষ তৈরি হয়।কিন্তু সরকারী কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি থাকায় এলাকাবাসীর একাংশ শত চেষ্টা করেও বাধ অপসারণ করতে পারেনি।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে রাজনৈতিক কোন সভা – সমাবেশ এবং কর্মসূচিতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে দেখা না গেলেও তিনি ওলামালীগের পদ পদবীতে ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কামিল মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা, জমিদাতা, অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে পরিবারের একাধিক সদস্য ও আত্মীয় স্বজনের মাদ্রাসাটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তার ছেলে নজরুল ইসলাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নেই বলে জানা গেছে। তবে তিনি দীর্ঘদিন মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল হালিম জানান,মঠবাড়িয়া থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন