পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি বিরোধে সেনা সদস্যকে হত্যা চেষ্টা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাহিদুল ইসলাম নামে এক সেনা সদস্যকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলাম উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মো. রফিজ উদ্দিন ফরাজীর পুত্র।

গত ২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সকাল সাড়ে ৮টা ও পৌনে ১০টায় দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

হত্যা চেষ্টায় জড়িতরা হলো-বড় মাছুয়া ইউনিয়নের উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের রুহুল খলিফার ছেলে বাদল খলিফা,বাদল খলিফার স্ত্রী শাহিনুর বেগম,শাজাহান ঘরামির ছেলে জুয়েল ঘরামি, মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মিঠাখালী গ্রামের শামসের খাঁ এর ছেলে কবির খাঁ,কবির খাঁ এর স্ত্রী কাজল বেগম,কবির খাঁ এর ছেলে শুভ, সহ ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন ও আত্মীয় স্বজন।

জানা গেছে, উত্তর মিঠাখালী মৌজার বসত বাড়ির ২২ শতাংশ জমি নিয়ে সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও বাদল গংদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।সম্প্রতী বাদল গং লোকজন নিয়ে জমির সীমানায় থাকা পুরনো পিলার উপড়ে ফেলে এবং কোন ধরনের মাপঝোপ ছাড়াই নতুনভাবে খুঁটা মেরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে প্রথম পর্যায়ে বিরোধীয় জমিতে তর্ক বিতর্ক এবং ২য় পর্যায়ে পোলঘাটা বাজারে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় জাহিদুল ইসলাম নামে ওই সেনা সদস্য কোন রকম প্রানে বেঁচে যায়।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাদল খাঁ এর সাথে কথা বললে তিনি ও তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম জানান, জমি নিয়ে বিরোধ আছে। পুরনো পিলার ভেঙে নতুনভাবে খুঁটা পুঁতেছি। হত্যা চেষ্টার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের হয়রানি করলে জাহিদকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানো হবে।