মঠবাড়িয়ায় ৯ টার পরিবর্তে ১০টায় স্কুল খোলেন প্রধান শিক্ষক

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১০০ নং মধ্য তুলাতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।বিদ্যালয়টি ৯ টার পরিবর্তে ১০টায় খোলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সোহরাপ হোসেন নিয়মিত বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরসহ কোন কিছু ক্রয় ও ব্যয় না করেই স্লিপের টাকা আত্মসাৎ করেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের সময় বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষগুলো তালাবদ্ধ। ততক্ষণেও টানানো হয়নি পতাকা। কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি করছে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে নেই। ৯ টা ৫৫ মিনিটের সময় ২ জন শিক্ষক এসে শ্রেনী কক্ষ খোলেন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে সময়মত না আসলেও হাজিরা খাতায় আগমনে ছকে ৯ টা লিখেন তিনি।

শিক্ষা কর্মকর্তারা এক বছরের অধিক সময় ধরে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন না করায় মনগড়া নিয়মে ও দায়সারাভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সোহরাব হোসেন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ে কোন ক্রয় না থাকলেও ভাউচার রেডি করেছেন ১ লাখ টাকার। প্রাক প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকার কোন কেনাকাটা নেই। মঠবাড়িয়া শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ে এখনও আনা হয়নি প্রাক প্রাথমিকের বই।

বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের জন্য কোন স্কুল ড্রেস নেই। কাব পোষাক নেই। ফুটবল, টেনিসবল,ব্যাটসহ খেলাধুলার কোন উপকরণ নেই। নেই ফাস্ট এইড বক্স। অদ্যবধি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় নি কোন মা সমাবেশ। দেওয়া হয় না মেধাবী পুরস্কার। বিদ্যালয়ে নেই প্রাক প্রাথমিকের কোন কর্নার। পালন করা হয়না কোন জাতীয় দিবস। দুইটি নষ্ট ল্যাপটপ প্রধান শিক্ষকের বাসায়। নেই কোন ডিসপ্লে বোর্ড। বিদ্যালয়টিতে কয়েক বছরের মধ্যে দৃশ্যমান নেই কোন মেরামতের ছাপ।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সোহরাব হোসেন জানান, আমি সাপলেজায় মিটিংয়ে ছিলাম। এজন্য স্কুলে আসিনি। আমি কোন অনিয়ম করি না। আমার ছেলের নৌবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অফিসার পদে চাকরি হয়েছে। আমার স্ত্রী ৯৪ নং নলী ভীম চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।