নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন


দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নোয়াখালীর কবিহাট উপজেলা থেকে জেলা শহর মাইজদী বাজার পর্যন্ত বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের স্লোগানে মোটরসাইকেল শোডাউন হয়েছে। ব্যক্তি স্লোগানে শোডাউনের এমন একটি লাইভ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তৃণমূল নেতাকর্মিদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ,আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশের পূর্বে এই শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাস্তায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যুবদল নেতা জানান, বিএনপি নেতা আবেদকে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে জেলা শহর মাইজদীর জেলা জজকোর্ট সড়কে নোয়াখালী জেলা বিএনপি একটি সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপি নেতা আবেদের নির্দেশে ওই সমাবেশের পূর্বে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে তার অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোডাউন দেয়। এসময় তার অনুসারী নেতাকর্মিদের শুধু মাত্র তার নামে অধিকাংশ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর আগে, গত ৯ অক্টোবরসহ তিনদিন তার অনুসারী নেতাকমিদের নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় মিছিল নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতা আবেদের বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শোডাউন করায় নোয়াখালীর একাধিক নেতাকে শোকজ ও বহিষ্কার করা হয়। তবুও নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাদের থামছে না মোটরসাইকেল শোডাউন কালচার।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জনগণের দুর্ভোগ হয়-এমন কোনো কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। কোনো প্রকার বিলবোর্ড টানানো এবং নেতাদের শোডাউন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দলের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন কর্মি বলেন, পার্টির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেখানে মোটরসাইকেল শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় একজন নেতা এই ধরনের কাজ কীভাবে করেন? আজকের এই শোডাউনের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের দলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মুঠোফোনে একাধিক ফোন দেওয়া হলে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে। ওই বিএনপি নেতার মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়টি প্রথম আমি গণমাধ্যম কর্মির থেকে জানতে পারি। এ বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন