নওগাঁর বদলগাছী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পরিশোধিত বিল বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও গ্রাহকরা সময়মতো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাংলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশীদ বই নং ২০১ হিসাব নম্বর ২২৭০। ওই মিটার পরিচালনাকারী গত বৃহস্পতিবার(২০শে ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে বারো টায় বকেয়া বিল সহ ৮৩৭ টাকা বদলগাছী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে পরিশোধ করেন।

কিন্তু কৌশল করে অফিস ২০ শে ফেব্রুয়ারী বিল পরিশোধ নিলেও ২৩ শে ফেব্রুয়ারি সিল মেরে স্বাক্ষর করে গ্রাহক কে বিল পরিশোধের কাগজ দেয়। বৃহস্পতিবার বিল পরিশোধ নেওয়ার পরও ওইদিন বিকালে গ্রাহকের সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। এতে আব্দুর রশীদ নামের গ্রাহক গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

ফলে চরম ভোগান্তিতে দিন-রাত কাটছে ঐ গ্রাহকের। গত তিন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় তার পরিবার পাশের বাড়ী থেকে মোবাইল ফোন, লাইট চার্জ দিচ্ছে।এবং ব্যবহৃত ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস সহ শাক সবজি পচে যেতে শুরু করেছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহক আব্দুর রশীদ বলেন, আমি বিদ্যুৎ বিল গত বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে পরিশোধ করে আসছি। অফিসের লোক বৃহস্পতিবার বিকালে গিয়ে আমার সংযোগ কেটে দিয়ে আসে। আমি বিল পরিশোধের কথা বারবার বললেও তারা আমার কোন কথা শোনেনি।

আজকে অফিসে গেলে তারা বলছে পুনঃসংযোগ ফ্রি ৮২৮ টাকা সহ একটি আবেদন অফিসে জমা দেন সংযোগ পেয়ে যাবেন। আমি চরম ক্ষতির মুখে পড়লাম। একদিকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলাম অন্যদিকে পুনঃ সংযোগ পেতে ৮২৮ টাকা জরিমানা লাগছে। আমাকে চরম হয়রানি করালো পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।

অভিযোগ রয়েছে, কোনো গ্রাহকের ২-৩ মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেছেন, অনেক প্রভাবশালী গ্রাহকের বছরের পর বছর বিল বাকি থাকলেও তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। আবার একবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে হয়রানির শেষ নেই। পুনঃসংযোগ পেতে এক হাজার টাকা জমা দিতে হচ্ছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বদলগাছী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মো লুৎফুল হাসান সরকারের সাথে গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি দায়সারাভাবে বলেন, এটা আসলে জানতে হবে। অনেক সময় বিল পরিশোধের তথ্য আমাদের কাছে আসার আগেই লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আজকে অফিস বন্ধ। বিলের কাগজ সহ আগামী রবিবার আমাদের অফিসে আসলে দেখে সমাধান করে দিতে পারবো।তবে এমনটি হওয়ার কথা নয়। কাগজ না দেখলে গ্রাহক হয়রানি বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।