যশোরের শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষ- আহত-২


যশোরের শার্শার গোগা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অগ্রভূলট গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর, গুলিবর্ষণ ও বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। এসময় আতিয়ার রহমান (৫৮) ও শফিকুল ইসলাম (৫৮) নামে দুই জন বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম জখম করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট বাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত আতিয়ার রহমান ওই গ্রামের রওশন আলীর ছেলে তিনি ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম একই গ্রামের সৈয়দ আলী গাইনের ছেলে।
জানা গেছে, রাজনৈতিক পালাবদলের পরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ও সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।
তারই জেরে সোমবার রাতে অগ্রভুলোট গ্রামের বাজারে সরোয়ার হোসেনের সমর্থক মৃত খোদাবক্স এর ছেলে বাবুল (৪৮), গোলাম হোসেনের ছেলে মিকাইল হোসেন (২৮) ও একই গ্রামের রমিজ উদ্দীনের ছেলে কবিনূর সহ অজ্ঞতনামা ১০/১২ জন আব্দুল হামিদ সরদার সমর্থিত আতিয়ার রহমানকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাটুর হাঁড় ভেঙ্গে ফেলে।
তাকে বাঁচাতে আসলে শফিকুল নামে অপার এক বিএনপি নেতাকে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং গুলি বর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীরা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হামিদ সরদার সমর্থিত নেতাকর্মীরা বাজারে এসে হট্টগোল সৃষ্টি করলে পুলিশ এসে সকলকে ছত্রভংঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ওই বাজার থেকে একটি তাজা বোমা ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনতা।
গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হামিদ এবং তার লোকজন এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গুম ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভংঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে।
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আহত পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন