নেত্রকোনার মদনে বেরুয়া খালে ব্রীজ নির্মাণ ফ্যাসিস্টদের লুটপাটের নিদর্শন


নেত্রকোনার মদনে কাইটাইল গ্রামে বেরুয়া খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের নামে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বেরুয়া খালে ব্রীজ নির্মাণের নামে লুটপাট মূলত ফ্যাসিস্ট সরকারের লুটপাটের একটি প্রমাণ বা নিদর্শনও বটে।
সরজমিন ও পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রণালয় এর আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৯১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৯৯ টাকায় ব্রীজ নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স শেখ সাদিক আদনান নূর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২৪ সালে প্রথম দিকে ব্রীজের কাজ শেষ হয় এবং ওই বছরই ব্রীজ উদ্বোধন করেন ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি সাজ্জাদুল হাসান। কিন্তু দু’মাসের মাথায় অর্থাৎ বর্ষা আসার সাথে সাথেই ব্রীজের দু’পাশের সংযোগ সড়ক ধসে পড়ে। ব্রীজের এপ্রোচ ভেঙ্গে যাওয়ায় ইট সলিং রাস্তা ভেঙ্গে অনেক ইট খালের খাদে পড়ে যায়। ব্রীজের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার বা ৪৯.২ ফুট কথা থাকলেও বাস্তবে ২৫-৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের মধ্যেই ব্রীজের কাজ শেষ হয়।
আওয়ামী নেতা ঠিকাদার শামীম জানান, অনেক আগে আমি এ ব্রীজের কাজ শেষ করে এসেছি। যা জানার পিআইও এর কাছ থেকে জেনে নেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। প্রয়োজনে টিআর বা কাবিখা দিয়ে হলেও সংস্কার করে দিবো। মাত্র কয়েক মাস আগে কোটি টাকা খরচ করে ব্রীজ নির্মাণ করলেন এখন সেখানে টিআর বা কাবিখা দিয়ে সংস্কার করা ঠিক হবে কি না? জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত জানান, বেরুয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি আমি যোগদানের অনেক আগেই উদ্বোধন হয়েছে। তবে, বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখবো।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন