ময়মনসিংহের গৌরীপুরে খুদে বার্তার মাধ্যমে হুইলচেয়ার পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধীরা

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে খুদে বার্তার মাধ্যমে হুইলচেয়ার পেয়েছেন ৩১জন প্রতিবন্ধী। হুইলচেয়ার পেয়ে তাঁরা খুব খুশি হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মুখুরিয়া বাজারে এসব হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছেন জাতীয়তবাদী সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল ইসলাম সেলিম ওরফে কবি সেলিম বালা।
কবি সেলিম বালা নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন যে, গৌরীপুর উপজেলায় কিংবা তার আশেপাশে কেউ যদি থেকে থাকেন পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, যারা হাঁটতে পারেন না, যার একটা হুইল চেয়ার দরকার, তারা আমার মেসেঞ্জারে নিজের ছবি এবং নাম ঠিকানাসহ যোগাযোগ করুন। এই পোস্টের পর ৩১ জন প্রতিবন্ধী মানুষ মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে।
উপজেলার নাহড়া গ্রামের মীম শারীরিক প্রতিবন্ধী। অন্যের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করেন। তার একটি হুইল চেয়ার খুবই প্রয়োজন ছিল। হুইল চেয়ার পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত।
হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি হয়েছেন নেত্রকোনা জেলার ল্যাংগুরা বাজারের সুরাইয়া খাতুন। এটি নিতে তিনি বাবার সাথে ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছেন।
তার বাবা বলেন, মেয়েকে হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার মতো আমার সামর্থ্য নাই। হুইল চেয়ারটি উপহার পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি।
বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতার কিছুদিন আগে শয্যাশায়ী হন ডৌহাখলা ইউনিয়নের লেবুর মোড়ের সুবজ মিয়া। চলাফেরার জন্য হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি হয়েছেন তিনি।
নাজিরপুর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের শেফালী আক্তার জানান, প্রতিবন্ধী হওয়ায় চলাফেরা করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।
ফেইসবুকে দুঃস্থ, অসহায়দের হুইল চেয়ার উপহার দিবেন কবি সেলিম বালা এরকম একটি পোস্ট দেখে আমার এক প্রতিবেশি বিষয়টি জানান। পরে আমি উনাকে হুইল চেয়ারের প্রয়োজন লিখে একটি খুদে বার্তা পাঠাই। আজকে হুইল চেয়ার পেয়ে আমি ও আমার পরিবার খুব খুশি।
জাতীয়তবাদী সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কবি সেলিম বালা বলেন, এমন কিছু মানুষ যারা শারীরিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারেনা তারাও তাদের পরিবারের আপন মানুষ। এইসব মানুষদের যা আয় করে তা দিয়ে নিত্য-নৈমিত্তিক জিনিসপত্র ক্রয় করার পর হুইল চেয়ার কেনা হয় না।
এই চিন্তা থেকেই আমার এই কাজে আসা। আপনারা জানেন কাউকে কিছু দিতে হলে না জানিয়ে দিতে হয় কিন্তু আমি ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছি এই কারণে যেন সমাজের বিত্তবানরা এরকম কাজে অনুপ্রাণিত হয়। কাউকে কিছু দেয়ার মাঝে একটি আনন্দ আছে। আমি চাই যে সমাজের সকল মানুষই এই আনন্দটা পাক।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন