রাঙ্গামাটিতে ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কোতয়ালী থানাধীন রাঙ্গামাটি পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডস্থ রিজার্ভ বাজার মহসিন কলোনী এলাকার ভাড়া বাসা হতে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে একজন অজ্ঞাত মহিলার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড মর্মে ধারণা করা হয়। অতঃপর কোতয়ালী থানা পুলিশ মৃত অজ্ঞাতনামা মহিলার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করেন।
পরিচয় সনাক্তের মাধ্যমে জানা যায়, মৃত মহিলার নাম খাদিজা আক্তার (৪২) পিতা-মৃত আকবর হাওলাদার, মাতা-মৃত গোলবানু, সাং-পুটিখালী, ০৫নং ওয়ার্ড, থানা-মোরেলগঞ্জ, জেলা- বাগেরহাট।
পরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় উপরোক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন কোতয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম।
মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কোতয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত হলেন, মোঃ জামাল হোসেন মোল্লা (৪২), পিতা-মোঃ আইয়ুব আলী মোল্লা, সাং-বুড়ো মৌলভীর দরগাহ সড়ক, থানা-লবনচরা, জেলা-খুলনা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে প্রধান অভিযুক্ত মোঃ জামাল হোসেন জানায়, ভিকটিম মৃত খাদিজা আক্তারের সহিত তার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পরিচয়। মৃত মহিলা তার খাবারের হোটেলে চাকরি করতো। দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে তাদের উভয়ের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ০৩ বছর পূর্বে অভিযুক্ত জামাল ভিকটিম মহিলাকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ৩,০০,০০০/-টাকা নগদে গ্রহণ করেন। গত ০১ মাস ধরে ভিকটিম মহিলা তাকে (অভিযুক্ত জামাল) বিবাহ করার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং তার পাওনা টাকা ফেরত দিতে বলে। আর যদি সে (অভিযুক্ত জামাল) ভিকটিমকে বিবাহ না করে এবং পাওনা টাকা ফেরত না দেয় তাহলে ভিকটিম তাদের সর্ম্পকের বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হুমকি দেয়।
যার প্রেক্ষিতে তিনি (অভিযুক্ত জামাল) ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে গত ০১/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ ভিকটিমসহ রাঙ্গামাটিতে আসে এবং কোতয়ালী থানাধীন রাঙ্গামাটি পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ড রিজার্ভ বাজার মহসিন কলোনী এলাকায় জনৈক কাজী ওমর ফারুক তিতুমীর এর বিল্ডিং এর নীচতলায় একটি রুম ভাড়া নেয়।
অভিযুক্ত মোঃ জামাল হোসেন মোল্লা ভিকটিম খাদিজা আক্তার (৪২)’কে দই ও জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে গত ০২/০৪/২০২৫খ্রিঃ বেলা অনুমান ১২ ঘটিকার সময় গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করতঃ মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভিকটিমের দুই পায়ের গোড়ালির উপরে পিছন দিকের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে রুমের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে সকলের অগোচরে পালিয়ে যায়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন