যশোরের মনিরামপুরে সড়কের কাজের বিষয়ে বক্তব্য চাওয়ায় সাংবাদিককে ‘হত্যার হুমকি’

যশোরের মনিরামপুরে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য বক্তব্য নেওয়ার পর হোয়াটসআপে কল করে এক সাংবাদিককে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আনোয়ার হোসেন নামের ওই সাংবাদিক এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জিন্নাহর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আনোয়ার হোসেন দৈনিক আজকের পত্রিকার মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলিম হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন আনোয়ার হোসেন। আবদুল আলিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জিডিতে আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলিমের তত্ত্বাবধায়নে সরকারি অর্থায়নে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর মোহন্ততলা মন্দির অভিমুখে একটি ইটের সলিং সড়ক সংস্কারের কাজ কয়েক দিন আগে শেষ হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ছিল, সড়ক সংস্কারে মানহীন ইট ব্যবহারের কারণে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরপরই অধিকাংশ ইট ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য বক্তব্য নিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চেয়ারম্যান আবদুল আলিমের সঙ্গে মুঠোফোনে আনোয়ার হোসেনের কথা হয়। এরপর রাত ১০টা ৫২ মিনিটে আবদুল আলিম হোয়াটসঅ্যাপে আনোয়ার হোসেনকে কল করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
একপর্যায়ে তিনি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। আনোয়ার হোসেন এ সময় অন্য একটি মুঠোফোনে চেয়ারম্যানের বক্তব্য রেকর্ড করেন। জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবদুল আলিম বলেন, ‘আমার বাড়ি এবং সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের বাড়ি একই ইউনিয়নে। আমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভালো।
ইউনিয়ন সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ টাকা ব্যয়ে আমি ১৭৪ ফুট একটি ইটের সড়ক করছি। এতে প্রায় পাঁচ হাজার ইট লেগেছে। ইটের দাম বেশি। ভ্যাট ও আইডি বাদ দিলে ১ লাখ টাকা থেকে আরও টাকা কমে যায়। সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। বালু দিয়ে ইট বোনার কাজ কেবল শেষ হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় এখনো বালু দিতে পারিনি। সড়কের বিলও তৈরি করে জমা দিইনি।
এর মধ্যে গরুর গাড়ি ও ট্রলিতে করে ধান পরিবহনের সময় সড়কটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটা নিয়ে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার হোয়াটসআপে কথা হয়েছে। তাঁকে আমি গালিগালাজ করিনি, কোনো হুমকি দিইনি। আমার বক্তব্য রেকর্ড করে তা এডিট করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, আনোয়ার হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন