সভাপতি ও সম্পাদক
অনিয়ম দুর্নীতির শীর্ষে নওগাঁর নিয়ামতপুর সাব রেজিস্ট্রি দলিল লেখক সমিতির মুল হুতা

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির মুল হুতা সভাপতি মোঃ মোজাফফর হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন্দ্রনাথ দাস। সভাপতি এবং সম্পাদকের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দলিল লেখক সমিতির বেশ কিছু সাধারণ সদস্যরা।
ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ক্ষমতার দাপটে সমিতির সদস্যরা ও সাধারণ জনগন কোন ঠাসা হয়ে পড়েছেন তাদের কাছে এমনটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কাজী সামছুল আলম। ভুক্তভোগী কাজী সামছুল আলম বলেন সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নাইট গার্ড শাহজামাল বুধুর নামে অভিযোগ করে বলেন, নাইট গার্ড শাহজামাল বুধু বলেন বিকাল ৪ টার পরে দলিল রেজিস্ট্রির জন্য পার দলিলে ১০০০ টাকা করে দিতে হবে।
কারণ জানতে চাইলে নাইট গার্ড বুধু বলেন স্যার চলে যাবেন চারটার পর যারা দলিল করবেন তাদের পার দলিলে ১০০০ টাকা করে দিতে হবে এমনটি ভূক্ত ভোগী কাজী শামসুল আলম জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন এটাই নাকি তাদের নিত্য দিনের কাজ।
ভুক্তভোগী বলেন ৩৫০০/৪০০০ টাকা সরকারি খরচ কিন্তু সে সব দলিলে ও স্টাম্পে লেখনি সরকারি ট্রাজারী বাদ দিয়ে ১১ হাজার টাকা শুধু মুহুরী সমিতিতে দিতে হয়। জমি রেজিস্ট্রি করতে দলিল লেখক সর্বনিম্ন ২০,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকার বেশি নিয়ে থাকেন বলে এমনি অভিযোগ উঠেছে নিয়ামতপুর সাব রেজিস্ট্রার দলিল লেখক সমিতির উপর।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, কয়েক মাস আগে নিয়ামতপুর দলিল লেখক সমিতির বিরুদ্ধে একাধিক চলমান সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রসাশন কোন পদক্ষেপ না নেওয়াই তারা আরো নানা অপকর্ম সুরু করেছে, এতে সাধারণ জনগন আরো কোন ঠাসা হয়ে পড়েছেন। ইতি মধ্যে অনেক সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা একাধিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন এই দুর্নীতিবাজ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
বেশ কিছু সেবা গ্রহীতারা জানান, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিনা অনুমতি ছাড়া দলিলের ফি কোন দলিল লেখক কম নিতে পারবে না। প্রতিটি গ্রাহক তাদের সিন্ডিকেটের কাছে টাকা জমা দিলে তখন দলিল লেখকরা দলিল করতে পারবে এমটি জানা গেছে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় এই দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একক ভাবে নির্বাচিত হন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতির জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন।
শুধু তাই নয় এই দলিল লেখক সমিতিতে পিয়ন থেকে শুরু করে সকলকে সালামি দিয়ে খুশি রাখতে হয়। সালামি না দিলে তাদের দলিল আটকে রেখে চাপের মুখে ফেলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন্দ্রনাথের কাছে নানা রকমের অনিয়ম ও দুনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন কথা বলার সময় নেই, আপনাদের কোন কিছু বলতে বাধ্য নয়, তবে আমাদের দলিল লেখক সমিতিতে কোন অনিয়ম ও দুনীতি হয় না।
আর এর বেশি কিছু বলতে পারব না আপনারা এখন যেতে পারেন। এমন দুর্ধর্ষ অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ামতপুর সাব রেজিস্টারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। দলিল লেখক সমিতির দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুর্শিদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসে নাই তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আমি জেলা রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
দলিল লেখক সমিতির সিন্ডিকেটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নাইট গার্ড শাহজামাল বুধুর পাতানো কারেন্ট জালে আটকা পড়েছে সাধারণ দলিল লেখক সহ জমির ক্রেতা বিক্রেতা ও সেবা গ্রহিতারা। ভুক্তভোগীরা বলেন এদের পাতানো সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বৈষম্য দূর করে সরকারি আইন মোতাবেক জমি রেজিস্ট্রি করা হোক।
এই রেজিস্ট্রি অফিসকে সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি মুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং অতি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন