সেনা-পুলিশ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হামলার পর অবরুদ্ধ হয়ে পড়া দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় শহর ত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে গাড়িবহরটি বের হয়।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশস্থলে আগেই হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

এরপরও দুপুর ২টার আগেই নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন এবং বক্তব্য দেন। প্রথমে কথা বলেন উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম, পরে স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে তোলেন দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সভামঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষার প্রমুখ। সকলেই নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ বিরোধী স্লোগানে অংশ নেন। সমাবেশের শেষে নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দেন এবং সারজিস আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ত্যাগের ঘোষণা দেন।

সমাবেশ শেষে মাদারীপুর ফেরার পথে আবারও গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। হামলা প্রতিহত করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। ওই সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা হয়।