সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান মোঃ মুনসুর রহমান

আমাদের অগ্রজ সাংবাদিকরা স্থানীয় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে ১৯৬৯ সালে ‘সাতড়্গীরা প্রেসক্লাব’ নামক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তখন জেলা থেকে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো না। ৮০-র দশক পর্যšত্ম দেশে সংবাদপত্রের সংখ্যা হাতে গোনো। স্বাভাবিকভাবেই জেলায় সাংবাদিকদের সংখ্যাও ছিল কম।
তখন প্রেসক্লাবের কোনো গঠনতন্ত্রও ছিল না, পরিচালিত হতো অবৈতনিকভাবে সংগঠনের কার্যক্রম। তবে ৯০-র দশক থেকে দেশের ন্যায় জেলা থেকেও নতুন নতুন নামে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে, বাড়তে থাকে সাংবাদিকের সংখ্যাও। পরে প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট বিভেদের জেরে চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজরা চরমে উঠেছিল।
সেপ্রেড়্গেিত তরম্নণ সাংবাদিকরা মিলে প্রেসক্লাবকে গতিশীল করতে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করলেও সেই কমিটির নেতৃবৃন্দ এরপূর্বে প্রেসক্লাবের সদস্য ছিল না। ওই নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের মধ্যকার ঐক্য ধরে রাখার প্রত্যয়ে একটি গঠনতন্ত্র প্রস্তুত এবং বারংবার সভায় পঠনের মাধ্যমে অনুমোদন করেন।
এরই আলোকে শহরের সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র মোতাবেক সংগঠনে সদস্য হিসেবে অšত্মর্ভুক্ত হয়। তবে উপজেলার সাংবাদিকরা হতে না পেরে পৃথক পৃথক নামে সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তোলেন। যার সংখ্যা বর্তমানে জেলাজুড়ে প্রায় শতাধিক। ওই সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যদের হেডামে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরম্ন করে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরাও দ্বিধান্বিত।
২০০০ সালের পর থেকে জেলায় নতুন নতুন নামে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে। এছাড়াও দেশে বেসরকারী টিভি, রেডিও, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সেমতে জেলায় বাড়তে থাকে সাংবাদিকের সংখ্যাও। তবে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রমতে ওইসব সাংবাদিকরা সংগঠনে সদস্যর্ভুক্ত হতে পারেনি। তাই বাড়তে থাকে সাংবাদিকদের মধ্যকার ড়্গােভ ও অভিমান। সেই থেকেই প্রেসক্লাব বিভাজনের সূত্রপাট ঘটে।
পরে সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর নেতৃত্বে সাতড়্গীরা প্রেসক্লাব থেকে একটি গ্রম্নপ বের হয়ে ‘সাতড়্গীরা প্রেসক্লাব’ নামে প্রাক্তন মেয়র এমএ জলিলের বাড়ির গলিতে একটি সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তোলেন। যার দেড় বছর পরে প্রশাসনের সমঝোতার মাধ্যমে তারা সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের মূল গ্রম্নপে একীভূত হয়।
তবে ২০১৯ সালের শুরম্নতেই আবারও সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের বিরোধ নিয়ে সাংবাদিকদের চলমান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রম্নপ নেয়। অধিকাংশ সাংবাদিক একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট গ্রম্নপের রোষানলে পড়ে। সেপ্রেড়্গেিত একই বছরের মে মাসের শেষার্ধে প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক সাংবাদিকদের মধ্যকার রক্তড়্গয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় মূলধারায় সিনিয়র সাংবাদিকরা।
সেই ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের পড়্গে সদর থানাতে একটি মামলা রেকর্ড হয়। ওই মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সংগঠনের সদস্য পরিচয়দানকারী প্রাক্তন তাঁতীলীগ নেতা বাদী হয়ে আহত সাংবাদিকসহ প্রায় দু’ডজন সাংবাদিকের নামে একটি পাল্টা মামলা করেন। এরপরে সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার থেকে প্রেসক্লাব নিয়েই রাজনীতিটাই বেশি করে। এটা যেমন সাংবাদিকতার নৈতিক অবড়্গয়; তেমনি জেলার পুরো সিস্টেমের সার্বিক বিপর্যয়ও বটে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন পথে দেশ। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে এমন প্রত্যাশা আপমর মানুষ ও ন্যায় পরায়ন সাংবাদিকদেরও। তবে সাতড়্গীরা প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক ভিন্নরম্নপ দেখা যায়। কতিপয় সদস্যরা রাজনৈতিক দলের ট্যাগ ব্যবহার করে প্রেসক্লাব নামীয় সংগঠন দখল করতঃ রাম-রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে কতিপয় সাংবাদিকদের ব্যালেন্সে সংগঠনের গঠনতন্ত্র উপেড়্গা করে পদ-পদবী দখল করতঃ ড়্গ্যšত্ম থাকেনি তারা। বরং কতিপয় সাংবাদিক তথা ব্যক্তির মাধ্যমে ফেসবুকে সাতড়্গীরা প্রেসক্লাব নামে পৃথক https://www.facebook.com/dpressclube c পৃথক K https://www.facebook.com/profile.php?id=100064732218488 আইডি খুলেছে। এছাড়াও সাতড়্গীরা জেলা প্রেসক্লাব নামে আরও একটি https://www.facebook.com/profile.php?id=100055143283313 আইডি খুলেছে।
শুধু তাই নহে, [email protected] নামে একটি ই-মেইল রয়েছে। তবে সেটি প্রাধান্য না দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি [email protected] নামে পৃথক একটি ই-মেইল খুলেছে। উপরিউক্ত ফেসবুক আইডিগুলোতে প্রেসক্লাব সম্পর্কে তেমন কোনো পোস্ট না থাকলেও বিভিন্ন রকম লেখা পোস্ট করতে দেখা যায়। এবং একটি কাল্পনিক [email protected] নামের ই-মেইল থেকে ওই কমিটির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিবৃতি প্রশাসনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবাদিক তথা ব্যক্তির ই-মেইলে পাঠান।
ঐ কর্মকা-ে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট বিভাজন, মধ্যকার সমন্বয়হীনতা কিংবা অভ্যšত্মরীণ মতানৈক্যে সৃষ্টি হয়। সেজন্য সংগঠনের নামীয় সঠিক ফেসবুক আইডি চিহ্নিতপূর্বক ঘোষণা করতঃ [email protected] নামের ই-মেইল থেকে বিবৃতি ও সংবাদ পাঠানোর প্রত্যাশার পাশাপাশি ভূয়া ফেসবুক আইডি ও কাল্পনিক ই-মেইল বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।
সাংবাদিকরাই সাংবাদিকদের প্রধান শত্রু। সাংবাদিকরা খুব কমই দাঁড়াই সহকর্মীদের পাশে। কারো পতনে নিত্যানন্দ অনুভব করে। ঔদ্ধত্য আর দাম্ভিক আচরণের মধ্য দিয়ে চলে বীরদর্পে, যেন প্রত্যেকেই যে যার যার অবস্থান থেকে বেশ ড়্গমতাবান ও প্রবল প্রতাপশালী। দুঃখজনক হলেও সত্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি রাজনৈতিক পরিবারের রোষানলে পড়ে সাতড়্গীরা প্রেসক্লাব। ফলে তারা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার নেতৃত্ব নিয়ে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন।
এতে সংগঠনের একটি বড় অংশ তাদের নেতৃত্ব মানতে নারাজ, সেমতে তারা জেলা প্রশাসক থেকে শুরম্ন করে সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাধিন্নে যেয়ে প্রেসক্লাবে একিট শাšিত্মপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দাবী তোলেন। তবে ওই কর্মকর্তারাও তাদের দাবীর প্রেড়্গেিত চলমান দ্বন্দ্ব নিরসন করতে ব্যর্থ হয়। এতে প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক সাংবাদিকদের মধ্যকার সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল।
এদিকে আবু সাঈদ-বারী কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবের নির্বাচনকে এজেন্ডা বানিয়ে আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ সাধারণ সভা করার সিদ্ধাšত্ম গ্রহণ করতঃ নামধারী পত্রিকার সাংবাদিকদের সংগঠনের সদস্য করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
সেই বার্তা প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্য সাংবাদিকরা জানতে পেরে অচলাবস্থা নিরসনে শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) বিকালে অনুষ্ঠিত এক সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ বেতার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও আজকের পত্রিকার সাতড়্গীরা প্রতিনিধি আবুল কাসেমকে সভাপতি এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও বাংলাভিশনের সাতড়্গীরা প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেন।
ওই কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সময় টিভির সাতড়্গীরা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপ্পি। উক্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ ১০ জুন ২০২৫ ইংরেজি তারিখে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৭৫ জন সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ প্রদান করেন। এতে ড়্গপ্তি হয়ে ওঠে আবু সাঈদ-বারী কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারাও প্রতিযোগিতায় নেমে নামধারী পত্রিকার প্রায় ৩৬ জন সাংবাদিককে সদস্যর্ভুক্ত করেন, তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি।
অপরদিকে নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ সোমবার (৩০ জুন ২০২৫) শাšিত্মপূর্ণভাবে সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য মেইন রা¯ত্মা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে প্রেসক্লাব সম্মুখে পোঁছানো মাত্রই আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী পরষ্পর যোগসাজশে জেলা শ্রমিক দলের এক নেতার মাধ্যমে আলিপুর, ভোমরা, মৃগীডাংগা, ইটাগাছা, পলাশপোল, রসুলপুর, মধুমলস্নার ডাঙ্গী, সুলতানপুর, বলস্নী, পুরাতন সাতড়্গীরা, শ্যালেস্ন, পাটকেলঘাটা থেকে সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিদের পাশাপাশি সাংবাদিক নন এমন বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তদের নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন।
তাদের হামলায় অšত্মত ৩০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলা হালকা করতে সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয়দানকারী আবু সাঈদ বাদী হয়ে হামলায় আহত সাংবাদিকদের নাম উলেস্নখপূর্বক ৩৭ জনকে বিবাদী করে সাতড়্গীরা থানায় একটি পাল্টা মামলা করেন।
হামলার পরের দিন প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন ৮ জুলাই ২০২৫ একটি কমিশন গঠন হবে মর্মে ঘোষণা করা হয়। তখন অধিকাংশ সাংবাদিকরা ভেবেছিলো ওই কমিশন এমন একটি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করবেন যাহাতে সকল সদস্য সাংবাদিকরা শাšিত্মপূর্ণভাবে সংগঠনে মিলেমিশে থাকবে, তবে করতে পারেনি তারা।
তৎপ্রেড়্গেিত জেলার সামগ্রিক বিষয়াদি বিবেচনা করে সাতড়্গীরার প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সংকট নিরসনে সিনিয়র সাংবাদিকরা জরম্নরী ভিক্তিতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারতো, তবে করেনি। এছাড়াও রাজনৈতিক দলের সংগঠকরা জেলার বুদ্ধিজীবী, তারা চাইলেও পারতো।
তবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সাতড়্গীরার নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সংকট নিরসনে উভয় সদস্য সাংবাদিকদের আশ্ব¯ত্ম করেও করেনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংগঠকরা সাংবাদিক মধ্যকার সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন।
সেমতে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের পাশাপাশি জেলার সাংবাদিকরা বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হলে এরই ছায়াতলে যোগ্য সাংবাদিকরা মিলিত হওয়ার সুযোগ পেতো এবং জেলাব্যাপী একটি শক্তিশালী সাংবাদিক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠতো। তখন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক সংগঠন বিমূখ হতো অধিকাংশ সাংবাদিক সংগঠক ও সদস্যরা।
বাইরের জেলার প্রায় ১৩৫ এর অধিক গুরম্নত্বপূর্ণ জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের জেলা প্রতিনিধি/সংবাদদাতা রয়েছে। এছাড়াও জেলা থেকে প্রকাশিত প্রিন্ট পত্রিকার প্রায় ৫’শতাধিক প্রতিনিধি বা সংবাদদাতা রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৭’শতাধিক সাংবাদিক রয়েছে যারা সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রাপ্ত।
তবে ত্রম্নটিপূর্ণ গঠনতন্ত্রের জন্য অধিকাংশই সংগঠনের সদস্যভুক্ত হতে পারেনি।
বিগত দিনে কৌশলগতভাবে ভেদাভেদ মাড়িয়ে সাংবাদিকদের মধ্যকার একটি সিন্ডিকেট তৎকালীন পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন বিশেষ কমিটির ফাইনাল তালিকায় ১০৪জনের সদস্যপদ প্রদান করেন, এরপূর্বে ২৫জন সাংবাদিকদের নাম খসড়া তালিকায় উঠলেও তারা বাতিল করেন।
পরে আদালতের রায়ের প্রেড়্গেিত ১০জনকে সংগঠনে সদস্যর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিলেও তারা করেনি। এছাড়াও নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ৭৫জন ও আবু সাঈদ-বারী কমিটির নেতৃবৃন্দ ৩৬জনকে সংগঠনের সদস্যপদ প্রদান করেন। এরমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন ৬জন। সেমতে চলমান বিভেদ নিরসনে উপরিউক্ত তথ্য মিলিয়ে ২৪৪ জনকে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অšত্মর্ভুক্ত করিয়া একটি তালিকা প্রস্তুতের মাধ্যমে সভা আহবান করা সময়ের প্রয়োজন।
ওই সভায় সকল পর্যায়ের সদস্য সাংবাদিকদের মতামতের প্রেড়্গেিত গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য একটি বিশেষ সাধারণ সভা করতঃ সকল মতৈক্য ভুলে গঠনতন্ত্র সংশোধনপূর্বক অনুমোদনের পর একটি নান্দনিক নির্বাচনের প্রেড়্গাপট তৈরি করা দরকার। এবং অন্যান্য সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে সদস্য হতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রদানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
তাহলে ভবিষ্যতে কখনো কেউ সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের চেয়ার বা পদ-পদবী দখল করতে পারবে না, পারবে না কেউ মারামারি করতে..? সম্প্রতিক সময়ে আবু সাঈদ-বারী কমিটির নেতৃবৃন্দ আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে সংগঠনের একটি সাধারণ সভা আহবান করেছেন। সেই সভায় নতুন ৩৬ জনের নামসহ চূড়াšত্ম ভোটার তালিকা পেশ, নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করবেন বলে চাউর হয়েছে।
এতে সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তাই নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বুধবার (১৬ জুলাই ২০২৫) এক বিশেষ সভায় ঘোষণা করেছে আগামী ২১ জুলাই ২০২৫ ইংরেজি তারিখের মধ্যে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট দ্বন্দ্ব সুষ্ঠভাবে সমাধান না হলে ২১ জুলাই ২০২৫ ইংরেজি তারিখ থেকে দাবী আদায় করতে লাগাতার কর্মসূচী পালন করবে।
সেজন্য প্রেসক্লাব রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সাংবাদিকদের মধ্যকার নেতৃত্বের সংকট উত্তরণে জেলার সকল পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবী। সাতড়্গীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরা পূর্বের গতিতে ফিরম্নক, সকল পর্যায়ের সাংবাদিকদের মধ্যকার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই প্রত্যাশা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন