মঠবাড়িয়ায় শ্বাশুড়ির লাথিতে পুত্রবধুর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু : থানায় অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট হারজি এলাকায় শ্বাশুড়ির লাথির আঘাতে ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা পুত্রবধুর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের পর ওই রাতেই পুলিশ এমিলি নামে ওই নারীকে (শ্বাশুড়ি) আটক করেছে।তিনি মিরুখালী ইউনিয়নের মৃত জলিল হাওলাদারের স্ত্রী।
জানা গেছে, ছোট হারজি গ্রামের মৃত জলিল হাওলাদারের ছেলে ইমরান মাহমুদের সাথে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম ইন্দ্রপাশা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক হাওলাদারের মেয়ে দুলালি আক্তার আয়শার সাথে ৭ বছর পূর্বে ইসলামী শরিযত মোতাবেক বিবাহ হয়। ৪ মাস পূর্বে স্বামী ইমরান মাহমুদ প্রবাসে যাওয়ার পর শ্বাশুড়ি তার পুত্রবধুর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পায়।দু’টি সন্তান থাকতে পুনরায় সন্তান নেওয়ার বিষয় নিয়ে কয়েকমাস ধরে শ্বাশুড়ির সাথে পুত্রবধুর ঝগড়া হয়।পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য পুত্রবধুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গত ২৬ অক্টোবর ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে শ্বাশুড়ি উত্তেজিত হয়ে লাথি মারলে পুত্রবধু অসুস্থ হয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।তার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে বাবার বাড়ির লোকজন তাকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।পূর্বের সিজারের সেলাইয়ের জায়গা ফেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় বরিশাল মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রত সিজারের ব্যবস্থা করেন।৪ নভেম্বর সিজার অপারেশনে ৬ মাস বয়সী একটি অপরিপক্ক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলেও ৬ নভেম্বর রাত পৌনে ১১টায় মারা যায়।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান,এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির লাশ পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পার্থ চক্রবর্তী জানান,এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন



















