সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে সেনা সদস্যের প্রতারনা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেঁতাছিড়া গ্রামের আবু জাফরের পুত্র আলামিন নিজেকে সেনা সদস্য পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর জাকারিয়া নামে একজন ভুক্তভোগী মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে,প্রতারক আলামিন বিভিন্ন সময় পরিচিতজন ও আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে লোক নিতে পারে বলে প্রচারনা চালায়।এরই ধারাবাহিকতায় ওই সেনা সদস্যের আপন চাচা ও ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী কলেজের প্রভাষক (হিসাব রক্ষন) আবু সালেহ এবং সেনা সদস্য আলামিনের আপন মামাতো ভাই ও সূ্র্যমনি এলাকার মাসুম হাওলাদারের পুত্র বায়জিদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে চাকরি নেওয়ার মত কয়েকজন লোক ঠিক করে।
চাকরিপ্রার্থীদের সাথে চুক্তিপত্র সৃজন করে।জাহিদ নামে একজনের সাথে সৈনিক পদে চাকরির জন্য ৭ লাখ টাকার চুক্তিপত্র তৈরি করে। এরমধ্যে প্রতারক আলামিন ২ লাখ টাকা নগদ গ্রহন করে এবং ৫ লাখ টাকা নিয়োগ কার্ড পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকিবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করে।
রুম্মান নামে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকার একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করে। ১ লাখ টাকা নগদ গ্রহন করে এবং বাকি টাকা চাকরিতে যোগদানের পর বুঝিয়ে দিতে হবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করে। আর চাকরি দিতে না পারলে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা চাকরিপ্রার্থীকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে বলেও উল্লেখ করে।
হাসিব নামে চাকরিপ্রার্থী এক যুবকের সাথে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করে নগদ ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই প্রতারক।গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এভাবে বিভিন্ন বেকার যুবকদের সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় সে।
সেনাবাহিনীতে তার পরিচয় পত্র নং -ID C00111178 No.1244545 ইস্যু তাং-১৭ এপ্রিল ২০২২।তবে বর্তমানে সেনাবাহিনীতে তার চাকরি আছে কিনা তা নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।কেউ বলে চাকরি চলে গেছে।আবার কেউ বলে চাকরি চলে যাওয়ার পর প্রতারনার মাধ্যমে টাকা পয়সা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সাপলেজা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের (খেঁতাছিড়া) ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই মঠবাড়িয়া থানায় আলামিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছিল।
বর্তমানে আলামিনের চাকরি আছে কিনা জানি না। তবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সত্য।এ ঘটনায় তাদের বাড়িতে মাঝে মধ্যে পুলিশ আসে।
বিষয়টি নিয়ে কলেজ শিক্ষক আবু সালেহ’র সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও আলামিনের মামাতো ভাই বায়জিদ জানান, আলামিনের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।
মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাফরুল্লাহ জানান, আলামিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















