শেরপুর সরকারি কলেজের প্রভাষকদের পদোন্নতি আন্দোলনে একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির

শেরপুরে সরকারি কলেজের ২৭ জন প্রভাষক পদোন্নতির দাবিতে রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকায় ক্লাস, ইন-কোর্স, রুটিন পরীক্ষা, ফরম পূরণ ও অ্যাসাইনমেন্টসহ প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

প্রভাষকদের অভিযোগ, পদোন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা—সন্তোষজনক এসিআর, বিভাগীয় পরীক্ষা, সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং প্রাপ্য নথিপত্র—নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করার পরও বছরের পর বছর ধরে তাদের পদোন্নতির ফাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আটকে রয়েছে। কেউ ছয় বছর, কেউ দশ বছর, আবার কেউ তেরো বছর ধরে কর্মরত থাকলেও এখনো পদোন্নতি পাননি।

আন্দোলনকারী এক প্রভাষক জানান, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ করলে পাঁচ বছরের মধ্যে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। তার এক প্রশাসন ক্যাডারের বন্ধুর পাঁচ বছরে পদোন্নতি হলেও তিনি নিজে এবং তার সহকর্মীরা ১২ বছর পেরিয়েও পদোন্নতি পাননি। বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাধ্য হয়েই আমরা ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি শুরু করেছি।”

প্রভাষকরা দ্রুত পদোন্নতির আদেশ জারি না হলে কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।