খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আবারো নিরিহ ৭ গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পানছড়ি উপজেলাতে আবারো নিরিহ ৭গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশিতে সাধারন জনমনে ব্যাপক আতংক সৃষ্টি হয়েছে। জেলার পানছড়িতে ক্ষেতে খাওয়া সাধারন ৭গ্রামবাসীর বাড়িতে হঠাৎ সেনাবাহিনী হয়রানিমূলক তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার(২১শে নভেম্বর ২০২৫) বিকালে পানছড়ি সদর ইউনিয়নের গগন চন্দ্র পাড়ায় এ ব্যাপক তল্লাশির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার(২১শে নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার সময় পানছড়ি সাব-জোন থেকে ৪টি গাড়িযোগে ৪০/৪৫জনের একদল সেনা সদস্য কলেজ গেইট, মির্জিটিলা হয়ে পানছড়ি সদর ইউনিয়নের রাঙাপানিছড়া এলাকার গগন চন্দ্র পাড়ায় হানা দেয়। সেনারা গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িও গেরিলা কায়দায় ঘেরাও করে অন্তত ৭গ্রামবাসীর বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।

তল্লাশির শিকার গ্রামবাসীরা হলেন-১। ধরণী ভূষণ চাকমা(৬২), পিতা-মৃত গগন চন্দ্র চাকমা, ২. রুপম চাকমা(৩৭), পিতা-ধরণী ভূষণ চাকমা, ৩। রিপন জ্যোতি চাকমা(৪৫), পিতা-ধরণী ভূষণ চাকমা, ৪। সুমন জ্যোতি চাকমা(৪৫), পিতা-যুগেন্দ্র চাকমা, ৫। সঞ্জিতা চাকমা(৪৭), স্বামী-বীর রঞ্জন চাকমা, ৬। ইন্দ্রদেবী চাকমা(৬৫), স্বামী- যুগেন্দ্র চাকমা, ৭।

তপন বিকাশ চাকমা(৩৬), পিতা-মানিক কিশোর চাকমা।
এ সময় সেনারা কয়েকজনের কাছ থেকে একজনের ছবি দেখিয়ে “এই ব্যক্তিকে কেউ চেনে কিনা ও তাদের গ্রামে যায় কিনা, ইউপিডিএফ সদস্যরা কোথায় থাকে” এমন আজগুবি বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে বলে নিরিহ ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

পানছড়ি উপজেলা গ্রামবাসী তল্লাশির শিকার হওয়া ধরণী ভূষণ চাকমা, রুপম চাকমা, রিপন জ্যোতি চাকমারা গুরুতর অভিযোগে জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা দোহায় দিয়ে কোন কিছু বোঝার আগে হঠাৎ করে এলাকাতে এসে গ্রামবাসীদের হয়রানিমূলক অমানবিক তল্লাশি চালানো নিয়মিত তহলের অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। বাংগালিদের সহানুভুতির ও পাহাড়িদের বিদেষমূলক আচরনে ধীরে ধীরে সেনাবাহিনীর প্রতি ঘৃনা জন্মাতে শুরু করেছে অনেক পাহাড়িরা।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল(২০শে নভেম্বর) একদল সেনা সদস্য পানছড়ির বড়কলক গ্রামে তিন গ্রামবাসীর বাড়িতে একই কায়দায় হয়রানিমূলক তল্লশি চালিয়ে আতংক ও ভীতি সন্জার করেছিল।