মাদকসেবীদের তদবির যিনি করবেন তাকেও পুলিশে দিবেন- বাবর

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বলেছেন, মাদক কারবারি ও জুয়ারীদের প্রশ্নে কোন আপোষ নয়। এদের বিষয়ে কেই তদবির করলে, তাদেরকেও ধরে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশে দিবেন।

তিনি বলেন, মাদক সকল অপরাধের জন্ম দেয়। মাদক একটি পরিবার ধ্বংস করে দেয় তা আমরা দেখছি। মাদকের জন্য সন্তান তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করে। সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়। মাদকের বিষয়ে কোন আপোষ করা যাবে না।

আজ শনিবার নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনের সফরে আজ শেষ দিন উপজেলার পুকুরিয়াসহ বিভিন্ন স্কুল মাঠে তিনি পথ সভায় বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন মিথ্যা মামলায় আমি দীর্ঘ সারে সতের বছর জেল খেটেছি। তিনটি মৃত্যু দন্ড ও তিনটি যাবজ্জীবন দিয়েও হাসিনার শখ মিটেনি,আরো অনেক মামলা দিয়ে আমাকে নির্যাতন করেছে, আর এক বছর গেলে হয়ত ফাঁসিতে ঝুলাতো। কারণ সে আমার কাছে যা চাইছে তা করি নাই, প্রতি বছরেই বিভিন্ন সময় মন্ত্রী ও বিভিন্ন লোক আমার কাছে যেত কিন্তু আমি তাদের কথায় সারা দেই নাই।

কথায় আছে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে ‘এখন আল্লাহর রহমতে সকলের দোয়া ও ভালবাসায় আপনাদের কাছে ফিরে এসেছি,আপনারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন,রোজা রেখেছেন,মান্নত করেছেন।

নেত্রকোনা-৪ (মদন,মোহনগঞ্জ,খালিয়াজুড়ি) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর আরও বলেন, আমি এসেছি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে, এবং গণতন্ত্রের মানষকন্যা বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে, এবং তার পুত্র আমাদের নেতা তারেক রহমানের আদর্শ নিয়ে, বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।

আমার মুল লক্ষ্যই হলো আমার নির্বাচনী এলাকায় বেকার মুক্ত করে অর্থনীতি সমৃদ্ধ করা। প্রত্যেকটি যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম কার্ণায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী পুতুলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।